ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া ও নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সংযোগকারী সড়কটির বেহাল দশা। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন। চলাচলের জন্য দ্বিতীয় কোন সড়ক না থাকায় ভোগান্তিতে পরেছে পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারী ফুটবলারদের জন্য বিখ্যাত কলসিন্দুর থেকে রনসিংহপুর বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের মধ্যাংশে প্রায় দুই’শ গজ সড়কের অবস্থা শোচনীয়। যান চলাচল না করলে বুঝার উপায় নেই কোনটি সড়ক, কোনটি ফসলের মাঠ। সামান্য বৃষ্টিতেই জায়গাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ফলে কখনও কখনও পথচারীদের নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয় । এছাড়াও সড়কের আট থেকে দশ জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে পুকুরের আকৃতি ধারণ করেছে। এসব গর্তের জন্য প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কের এ দুরাবস্থার জন্য ধান হাটে তুলতে পারছেনা এলাকার কৃষকরা।
এলাকাবাসীরা জানান, চলাচলের জন্য অনুপযোগী এ সড়কে ট্রাক ও লড়িসহ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ঝুঁকি নিয়েই চলছে অটো, টেম্পু, রিকশা ও মোটরসাইকেল। দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। স্থানীয়রা জানান, ‘গুরুতর অসুস্থ রোগী ও গর্ভবতী নারীদের নিয়ে আমাদেরকে সব সময় আতঙ্কিত থাকতে হয়। প্রসবের সময় কাছে আসলেই এখানকার বেশিরভাগ নারী কোন হাসপাতালের কাছাকাছি আত্মীয়-বাড়িতে চলে যায়।’ এমন ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে চান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন জানান, তিন বছর সড়কটির পুনঃনির্মাণের জন্য এলজিইডি অফিসসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপরে দ্বারস্থ হলেও কোন কাজে আসেনি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, সড়ক নির্মাণ হলেই বালুবাহী ভারি যান চলাচল শুরু করে, ফলে এক মাসের মধ্যেই পুনরায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়। ভারি যান চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, আগামী অর্থ বছরের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।