শাহ্ আলম ভূঁইয়া, প্রধান প্রতিবেদক, নান্দাইল আঞ্চলিক অফিস :
ময়মনসিংহের নান্দাইলে হাওরে নিয়ে ইয়াসমিন আক্তার নামে এক গৃহবধূকে শিশু কন্যার সামনে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বামী সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) পলাতক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নান্দাইল মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে থানায় এনে ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওই গৃহবধূর খুনের ঘটনায় তার ভাই বকুল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে নান্দাইল – মদনপুর এলাকার যুগের হাওরের নির্জন স্থান থেকে গৃহবধূ ইয়াসমিন আক্তারের (৩৫) ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূর মৃহদেহের পাশে থাকা তাঁর তিন বছরের শিশু কন্যা ফাতেমার কান্নার শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন মৃতদেহের সন্ধান পান। তারপর খবর পেয়ে ওইদিন রাতে থানা পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, নিহত ইয়াসমিন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামের মো.সিরাজের কন্যা। প্রায় ৮ বছর পূর্বে নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের হাদিস মিয়ার পুত্র মো. সাদ্দাম হোসেনের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। এর মধ্যে ওই দম্পত্তির দুইটি সন্তান হয়।
বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কলহ – বিবাদ লেগেই থাকতো। এক পর্যায়ে তা মামলা মোকদ্দমা পর্যন্ত গড়ায়। কয়েকদিন আগে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে সমঝোতা হলে হত্যাকান্ডের গত দুইদিন আগে ইয়াসমিন স্বামীর বাড়িতে ফিরে এসে ছিলেন এবং তিনি নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।
জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, হত্যার ঘটনার ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র রামদা পুলিশ উদ্ধার করেছে। উক্ত মামলার এজহারভূক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করার চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।