স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে ভুমি সন্ত্রাসীদের চাঁদাদাবি, হামলা হয়রানীর প্রতিবাদে ভুক্তভোগীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগীদের আজিজুর রহমান। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, নগরীর ১১৮ জেল রোড কাশরে আবাসিক ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে ১৮ শতক জমির মালিক আনোয়ারা বেগমের ওয়ারিশানদের কাছ থেকে গত কিছুদিন আগে আজিজুর রহমান নামীয়রা ১৮ জন অংশিদার হিসাবে যৌথভাবে জমি কেনার লক্ষে বায়নামুলে রেজিষ্ট্রি করেন। পরবর্তীতে উল্লেখিত জমিতে ভবন নির্মাণ কাজ করতে গেলে শেখ লাবলু, বিল্লাল ও মাহফুজ কাজে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে ঐ জমিতে আজিজুর রহমানদের লাগানো সাইন বোর্ড উপরে ফেলে দেয় চক্রটি। তিনি আরো বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর আবারো নতুন করে সাইন বোর্ড লাগাতে গেলে বিল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ১৭ ডিসেম্বর বিল্লাল হোসেন নামীয়রা জমির মালিকদের কাছে ১৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি এবং তাদের নামে ছয়টি ফ্ল্যাট দাবি করেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে এই চাঁদাবাজ চক্রটির হুমকিতে আমরা আতংকগ্রস্থ রয়েছি। ভয়ংকর চক্রটির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের হুমকিতে আমাদের জীবন নাশের আশংকা দেখা দিয়েছে।
চাঁদাদাবির ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানায় শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে শেখ লাভলু, বিল্লাল হোসেন ও মাহফুজসহ অন্যাদের নামে মামলা দায়ের করে। যার নং ৬৬(১২)২১, তাং ২২/১২/২১ইং।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রাজ মামুন, দেলোয়ার হোসেন ও ইমরান উদ্দিন পাঠান উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন বলেন, আমরা সিএস মালিকের ওয়ারিশানদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছি। মুলত আজিজুর রহমান নামীয়রা অন্যায়ভাবে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্ঠা করছেন। এছাড়া আদালতের মাধ্যমে একটি মামলা করেছি। এ ব্যাপারে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ভুক্তভোগীদের শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এছাড়া মাহফুজ নামীয় অপর পক্ষ আদালতের মাধ্যমে আরেকটি মামলা করেছেন। পাল্টাপাল্টি এবং জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পৃথক মামলা হওয়ায় পুলিশ গভীরভাবে বিষয়টি তদন্ত করছে। এছাড়া মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।