বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সমবায়ের মাধ্যমে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প গড়ে তুলতে হবে – গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ
স্টাফ রিপোর্টার : “বঙ্গবন্ধুর দর্শন সমবায়ে উন্নয়ন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে ৪৯ তম জাতীয় সমবায় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। বেলুন উড়িয়ে জাতীয় সমবায় দিবসের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ এমপি।
পরে জেলা পরিষদ ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরিফ আহমেদ এমপি।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ উন্নয়নে সমবায়ের অপরিহার্যতা এর উপর গুরুত্ব আরোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বাস্তবায়নে সমবায়ের মাধ্যমে গ্রাম-বাংলায় ক্ষুদ্র কুটির শিল্প গড়ে তুলতে হবে যার মালিক হবেন সাধারণ কৃষক শ্রমিক এবং ভ’মিহীন নির্যাতিত মানুষ।
তিনি আরো বলেন, সমবায়ের মূলল্য হলো দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন। কুটির শিল্প ভিত্তিক সমবায়িদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠির উপকারে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা ইউনিয়ন পর্যায়ে সমবায় সংগঠন গুলিকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
সমবায় বিভাগের বিভাগীয় যুগ্মনিবন্ধক মো: মশিউর রহমান এর সভাপতিত্বে¡ অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার মো: কামরুল হাসান এনডিসি, ডিআইজি ব্যারিস্টার মো: হারুন অর রশিদ বিপিএম, জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমবায় কর্মকর্তা জেলা সমবায় কর্তকর্তা মোহাম্মদ রবিন ইসলাম।
সোনারতরী মাল্টিপারপাস কোপারেটিভ এর সভাপতি মো. শাহজাহান পারভেজ এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন রুপসী বাংলা কেন্দ্রিয় ুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি লি: এর সভাপতি মো. আবুল হোসেন, পাটগুদাম দুলদুল ক্যাম্প ভূমিহীন সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন পাশা প্রমুখ।
এসময় বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, সমবায় বিভাগের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সমবায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেনীর মানুষ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বিদ্যমান সমবায় সমিতি গুলির মধ্যে কৃষক, ভূমিহীন, ব্যাংক, বস্তি উন্নয়ন, আশ্রায়ন বিভাগ থেকে ১০ জন শ্রেষ্ঠ সমবায়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।