সাইফুল ইসলাম তালুকদার ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) :
উপজেলার কাজির বলসা দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে মারপিটের ঘটনায় অফিস সহকারী কাজী মাহমুদুল হাসান ও কাজী মোশাররফ হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার মাদ্রাসা সুপার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার ১২টার দিকে এবতেদায়ী শাখার ইংরেজি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের কিছু খাতা মূল্যায়ন করে সহযোগিতা করার জন্য মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষিকা শাহানা ইয়াসমিন অফিস সহকারি কাজী মাহমুদুল হাসানকে অনুরোধ করলে অফিস সহকারী অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন।
কাজের ব্যস্ততা থাকায় সহকারি শিক্ষিকা শাহানা ইয়াসমিন বিষয়টি সুপারকে জানালে সুপারও অফিস সহকারিকে খাতা গুলো মূল্যায়ন করে দেয়ার নির্দেশ দেন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়। কিছুন পর অফিস সহকারির ভাই কাজী মোশাররফ হোসেনকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে সুপারের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে অফিস সহকারী কাজী মাহমুদুল হাসান চেয়ার দিয়ে সুপারের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে অফিসে টানানো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে মামলা না করার জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এব্যপারে অফিস সহকারী কাজী মাহমুদুল হাসান জানান, আমি সারাদিন মাদ্রাসার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। সারাণ কাজ করার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ি। ঘটনার দিন ১২টা ৪৫মিনিটের দিকে এবতেদায়ী শাখার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ইংরেজি বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের খাতা মূল্যায়ন করতে বললে আমি অফিস সহকারি আমার খাতা দেখার দায়িত্ব না। এতে সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালাগাল করতে থাকে। আমি সুপারের অসদাচরণের বিষয়টি আমার ভাইকে জানিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে বিচার দেয়ার উদ্যেশ্যে ঈশ্বরগঞ্জ চলে আসি।
আমার ভাই বিষয়টি জানতে মাদ্রাসায় গেলে সুপারের অনুগত সন্ত্রাসী মাসুম, মাজেক, জুয়েল ও সুপার নিজে আমার ভাইকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে বাড়ির লোকজন আমার ভাইকে সোমবার বিকেলে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে হাসপাতাল কর্তপক্ষ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
বঙ্গবন্ধুর ছবি নিজেরাই ভাংচুর করে আমাদের উপর দোষ চাপিয়েছে। আমাকে হয়রানি করার জন্য সুপার নজরুল ইসলাম পরিকল্পিত ভাবে এমামলা সাজিয়েছেন। আমাকেসহ আমার পারিবারের লোক জনের উপরে হামলা ও মিথ্যা মামলার বিচার দাবীতে বুধবার সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ও আইনগত ন্যায় বিচার পেতে অভিযোগ দায়ের করবো।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল কাদের মিয়া জানান, থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।