গফরগাঁও ( ময়মনসিংহ ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর অব্যাহতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের কবলে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে ৫’শ বছরের প্রাচীন ময়মনসিংহ-গফরগাঁও- টোক সড়কের একাংশ।
যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে এ সড়কের অংশ গফরগাঁও- হোসেনপুর সড়ক। পাশাপাশি অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকার বালু বিক্রি করলেও সরকার বঞ্চিত হচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব আদায় থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার তেুতুঁলিয়া গ্রাম , তেুঁতুলিয়া বাজার, পাঁচপাই বাজার, দুগাছিয়া মোড় সহ গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন অৈেবধ ড্রেজারের মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেই চলেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তেতুঁলিয়া গ্রামে।
এখানে ড়্রজোর দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে গফরগাঁও-হোসেনপুর সড়কের প্রস্থে ২০ ফুট ও দৈর্ঘ্যে প্রায় ৭০ ফুট সড়ক নদীগর্ভে বিলীন হয়ে পড়েছে। এখানে প্রভাবশালী তেতুঁলিয়া গ্রামের বাবুল (৪২) ও গফরগাঁও গ্রামের খোকাঁর (৪০) নেতৃত্বে অবৈধ ড্রেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তেআলন করছে।
তেুতুঁলিয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৬৫), চাঁনমিয়া (৭০) গফরগাঁও গ্রামের শাহাবুদ্দিন (৫৮) বলেন, ডেজার মালিক ও বালু ব্যবসায়ীরা প্রভাবশালী । প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না ।
গফরগাঁও -হোসেনপুর সড়কের সিএনজি ড্রাইভার হোসেন আলী (৪০) বলেন, তেঁতুলিয়া গ্রামে অবৈধ বালু উত্তোলন ও বালু ব্যবসা বন্ধ না করলে এখানে ্এক সপ্তাহের মধ্যেই সড়কটি নদীগর্বে বিলীন হয়ে যাবে। গফরগাঁও – হোসেনপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।
ময়মনসিংহের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সড়কের ভাঙন কবলিত এলাকা আমরা পরিদর্শন করেছি । ভাঙন প্রতিরোধে আমরা ব্যবস্থা নিব আর অবৈধ ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধের কাজ নির্বাহী প্রশাসনের । তাদেরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারি কমিশনার ভূমি কাবেরী রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । এ ব্যাপারে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করব।