খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ ঘোষণা
সাংবাদিকতায় দৈনিক যুগান্তর আতাউল করিম খোকন, দৈনিক স্বজন পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান
শাহ্ আলম ভূঁইয়া :
২৬ ডিসেম্বর, শনিবার গৌরীপুর উপজেলার কৃষি অফিস হল রুমে খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড-এর আহবায়ক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ৯ গুণী ব্যক্তিকে অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা করেন লেখক, সাংবাদিক ও পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনের সম্পাদক আজম জহিরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন শাহীন, ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশনের সভাপতি সাংবাদিক শাহ আলম ভূইয়া, সাংবাদিক সাইফুল আলম, এসিক নারী কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদিকা খাদিজা আক্তার বিউটি সহ গৌরীপুরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
শিল্পকলা, শিক্ষা, ভাষা ও সাহিত্যের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, বাংলাদেশের বিশিষ্ট গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কবি ফাতেমা ইসরাত রেখা, সাহিত্যিক প্রফেসর ননী গোপাল সরকার, আফেন্দি নূরুল ইসলাম ও রম্যলেখক সত্যজিত বিশ্বাস। সাংবাদিকতায় দৈনিক যুগান্তর, ময়মনসিংহ ব্যুরো প্রধান আতাউল করিম খোকন, ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক স্বজন পত্রিকার সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান, গবেষণাকর্মে নির্বাচিত হয়েছেন কৃষিবিদ ড. মো. আব্দুল মালেক ও সমাজসেবা কর্মে নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, সমাজসেবক মোহাম্মদ ফজলুল হক।
অ্যাওয়ার্ড কমিটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রায়হান উদ্দিন সরকার বলেন, এক বছর অন্তর অন্তর ক্রিয়েটিভ এসোসিয়েশন ও এসিক এসোসিয়েশন উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য বীরাঙ্গনা সখিনা সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড ও খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে থাকে।
আগামী কোনো একদিন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উক্ত পদক ও সার্টিফিকেট বিজয়ীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। তাছাড়া এই তারিখে ’পেন অ্যাওয়ার্ড অ্যাফেয়ার্স-২০২০’ ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য ময়মনসিংহের গৌরীপুরে “দি ইলেক্টোরাল কমিটি ফর খাজা উসমান খাঁ সিলভার পেন অ্যাওয়ার্ড” নামে একটি সংগঠনটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় অবস্থিত ঐতিহাসিক কেল্লা বোকাইনগর অধিপতি ঈশা খাঁর অনুগত খাজা উসমান খাঁর নামে এই অ্যাওয়ার্ড এর আয়োজন করে।
তাছাড়া অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে ময়মনসিংহের গেীরীপুর উপজেলায় খাজা উসমান খাঁর ইতিহাস , মোগল এবং সুলতান আমলের ইতিহাস অবহিত করা।
খাজা ওসমান ছিলেন উত্তর-পূর্ব বাংলার একজন পাঠান সর্দার এবং যোদ্ধা। বারো ভূঁইয়াদের একজন হিসেবে তিনি উত্তর বঙ্গের বৃহত্তর ময়মনসিংহ এবং পরবর্তীতে দণি সিলেটে জমিদারি করেন। তিনি ছিলেন মানসিংহ এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বাংলার সর্বশেষ আফগান সর্দার ও শাসক।
তার পরাজয়ের ফলে বাকী সকল পাঠানকে আত্মসমর্পণ করতে হয় এবং সিলেট অঞ্চলটি সুবাহ বাংলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাকে বাংলার ইতিহাসের সবচেয়ে রোমান্টিক ব্যক্তিত্ব বলে মনে করা হয়। বাহারিস্তান-ই-গায়বী, তুজুক-ই-জাহাঙ্গীরী এবং আকবরনামার মতো বিখ্যাত গ্রন্থে তার জীবনী রয়েছে।
ঈসা খাঁর সাথে কাজ করে, উসমান খাঁ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জয় করেন। তিনি তার রাজধানী গৌরীপুরে বোকাইনগর দুর্গ শহরটি তৈরি করতে সম হন এবং এর মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব বাংলার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পরে, ১৫৯৯ সালে উসমান বোকাইনগর দুর্গ পুনর্র্নিমাণ করে একে ২০,০০০ সৈন্যের একটি শক্তিশালী সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করতে সম হন। উসমান হাসানপুর এবং এগারোসিন্দুরে আরও দুটি দুর্গ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।