স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন- ২০২০ উপলে অবহিতকরন ও পরিকল্পনা সভা মঙ্গলবার ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের শহীদ শাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশনের সচিব রাজিব সরকারের সভাপতিত্বে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যামন্ত্রণালয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্য আলোচক ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, সফলতা নির্ভর করে যিনি টিকা খাওয়ান এবং আগের টিকা প্রদানের আগের দিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলে আসেন, কাল টিকা খাওয়ানো হবে। মূলত তাদের কর্মদতায় টিকাদান সফল হচ্ছে। এবারই প্রথম দীর্ঘ সময় ধরে টিকা প্রদান করা হবে। তবে মনে রাখতে হবে করোনাকালে কোনভাবেই যেন একটি ভাল কাজ করতে গিয়ে শিশু, অভিভাবক ও কর্মীরা নতুন করে বিপদের মধ্যে (করোনা আক্রান্ত ) না পড়ে তার দিকে বিশেষ খেয়াল এবং সুরা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এছাড়া বক্তব্য রাখেন সহাকারী স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ পরীতি কুমার পাড়, সদর উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ শাহনাজ কবির, ময়মনসিংহ প্রেসকাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়সহ প্রমুখ। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এইচ কে দেবনাথের সঞ্চালনায় এই সভা হয়। সভাপতির বক্তব্যে সিটি কর্পোরেশনের সচিব রাজিব সরকার বলেন, টেকসই উন্নয়নের উদ্দেশ্যেই সরকার সুরতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করে আসছে। সুরতি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিতে জীবনের শুরু থেকেই যাতে নিরাপদ স্বাস্থ্য উপহার পায় তার জন্যই এই টিকাদান ব্যবস্থা।
ভিটামিন এ ঘাটতি জনিত প্রধান রোগ হচ্ছে রাত কানা হতে আস্তে আস্তে অন্ধত্ব। বর্তমানে সরকারীভাবে ৬-১১মাস বয়সী শিশুদের জন্য লীল রঙের ভিটামিন’ এ ‘ক্যাপসুল ও ১২ মাস হতে ৫৯ মাস পর্যন্ত লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসূল খাওয়ানোর ব্যবস্থা গ্রহনের ফলে এখন আর রাত কানা রোগ দেখা যায় না। ‘এ’ প্লাস প্রচারনার ফলে মৃত্যু ঝঁকি সহ কঠিন রোগ হতে রা পাচ্ছে ল ল শিশু। ৪, অক্টোবর ২০ হতে ১৭ অক্টোবর/২০ পর্যন্ত প্ল্যান অনুযায়ী ভিটাসিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।