শ্রীবরদীতে কাঁচা রাস্তায় চলাচল জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ৫:২৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের কিয়ামতলী বাজার থেকে নবিনগর সড়কে চলাচলে এখন জনদুর্ভোগ চরমে। সড়কের বেশিরভাগ স্থান পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আগে যানবাহন চলাচল করলেও এখন হেটে চলাও কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত পাকা করণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ চলাচলকারীরা। মঙ্গলবার সরেজমিন গেলে স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও চলাচলকারীসহ প্রশাসনের সাথে কথা বলে ওঠে আসে এমন তথ্য।


জানা যায়, দেশ স্বাধীনের আগে থেকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কিয়ামতলী বাজার হতে নবিনগর খালেকের দোকান পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়ক। এই সড়ক দিয়ে কুড়িপাড়া, মন্ডলপাড়া, সরকারপাড়া, বালুঘাট, নবীনগর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার লোকের বসবাস। ওইসব এলাকায় রয়েছে কমিউনিটি কিনিকসহ বেশকিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়রা ছাড়াও ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী বকশিগঞ্জ ও ইসলামপুরের ফুলকারচর, টানাব্রীজ এলাকার হাজার হাজার লোক চলাচল করে। তবে আজো এ সড়কের কোনো উন্নয়ন হয়নি। জাতীয় সংসদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউপি নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন জনসমাবেশে সড়কটি পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বর্ষা এলে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজার হাজার মানুষ।

কেউ অসুস্থ হলে এম্বুল্যান্স নিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। গর্ভবতী মহিলা ও অসুস্থ বৃদ্ধ লোকদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয় এলাকাবাসীদের। এমনকি অটোরিক্সা, ভ্যান, হোন্ডা চলাচলে হিমশিম খাচ্ছে এলাকাবাসীসহ পথচারীরা। সারাদেশে উন্নয়নের হাওয়া বইলেও ওই এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন না হওয়ায় এলাকাবাসী ও পথচারীরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সড়ক দিয়ে যাতায়তকারী সোয়েব, হামিদুর, মালেক জানান দীর্ঘদিন যাবত সড়কটি পাঁকা না হওয়ায় আমরা চরম ভোগান্তিতে রয়েছি।

এ ব্যাপারে সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বলেন, সড়কটি পাঁকা করতে যে পরিমান টাকার প্রয়োজন তা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বহন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সড়কটি পাকা করণের জন্য স্থানীয় এমপি ও প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অবগত করেছি। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এ সড়কটির দুরাবস্থার চিত্রের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ওই সড়কের এক কিলোমিটার পাকা করণের বরাদ্দ হয়েছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে। পরবর্তীতে বরাদ্দ পেলে অবশিষ্ট সড়কও পাকা করণ করা হবে।