লাভজনক কৃষি উপহার দিতে চায় বিনা‘র বিজ্ঞানীরা
বিনায় চার ফসল ভিত্তিক শস্য বিন্যাস সম্প্রসারণ শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ
স্টাফ রিপোর্টার :
বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আয়োজিত “চার ফসল ভিত্তিক শস্য বিন্যাস সম্প্রসারণ” শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ গতকাল ২০ জানুয়ারি বুধবার সকাল ১০ টায় বিনার সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতি ছিলেন বিনার মহাপরিচালক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বিনার পরিচালক গবেষণা ড. হোসনেয়ারা বেগম,বিশেষ অথিতি ছিলেন বিনার পরিচালক প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল এর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মাজেদ, বিনার পরিচালক প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস এবং পিবিআরজি-০৮৯ এর কো-অর্ডিনেটর ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ,বিএডিসি মধুপুর বীজ উৎপাদন খামারের উপ-পরিচালক সঞ্জয় রায় ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ মতিউজ্জামান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনার পিবিআরজি-০৮৯ এর এসোসিয়েট কো-অর্ডিনেটর ড. এ এফ এম ফিরোজ হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কাউসার আলম নাহিদ। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সামিউল হক।
উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথি বিনার মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ও ১৫ই আগস্টে নির্মম ভাবে নিহত সকলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি বলেন কৃষিকে বাণিজ্যিক ভিত্তিক করে কৃষককে লাভ জনক কৃষি উপহার দিতে চাই।
এলক্ষ্যে বিনার বৈজ্ঞানিকগণ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিনা উদ্ভাবিত ১১২ টি ফসলের বিভিন্ন জাত কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা হচ্ছে এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবে না। জমি কমছে উৎপাদন বাড়াতে হবে। মাটির পুষ্টিরও খেয়াল রাখতে হবে। একটি জমিতে কমপক্ষে ৪টি ফসল চাষ করতে হবে।
বিনা উদ্ভাবিত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমন-সরিষা-বোরো ও আউশ ফসল চাষ করা যায়। কৃষকদেরকে এপ্রযুক্তির সাথে পরিচয় করার জন্য আজকের এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে।দ্বিতীয় সেশনে ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলা থেকে ৩৯ জন কৃষক এবং প্রত্যেক উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার একজন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
প্রশিক্ষণে বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ৬০ জন অংশগ্রহণ করেন। কৃষকদের কাছে পাট শাক আবাদের জন্য বিনামূল্যের পাট বীজ বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য সরিষাএর চাষাবাদ পদ্ধতি ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিনার উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মোঃ আব্দুল মালেক, বিনা পাট শাক-১ এবং বিনা ধান-১৯ এর চাষাবাদ কৌশল ও বীজ সংরক্ষণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন বিনার পরিচালক প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস এবং পিবিআরজি-০৮৯ এর কো-অর্ডিনেটর ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ ও প্রদর্শনী স্থাপনে করণীয় ও সম্ভাব্য সমস্যা নিরুপন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেন বিনার উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং পিবিআরজি-০৮৯ এর এআরইডি ও পিআই ড. শামীমা বেগম।