গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে পৌর যুবলীগ সভাপতি মেহেদি হাসান মিথুন, আওয়ামী লীগ নেতা কেনু মিয়ার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপরদিকে রোববার গভীররাতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবির প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা- অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোমবার (২৫ জানুয়ারি/২০২১) উভয়পক্ষই বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
গৌরীপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান জানান, তার ভাই সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বর্তমানে পৌর মেয়র ও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা, নৌকা শ্লোগান দিয়ে তার বাসায় রাত ১১টার দিকে হামলা চালানো হয়।
নারিকেল গাছ প্রতীকের সমর্থক কেনু মিয়ার বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর করে দুবৃর্ত্তরা। খেলার মাঠ ও পুর্বদাপুনিয়া এলাকায় সাঁটানো নারিকেল গাছ প্রতীকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে সোমবার দুপুরে মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড, খেলার মাঠ এলাকায় বিক্ষোভ করে।
এদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম হবির প্রধান নির্বাচনী কেন্দ্রে রোববার রাতে দুবৃত্তরা হামলা ও নৌকা প্রতীকে অগ্নিসংযোগ করে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ডাঃ হেলাল উদ্দিন আহাম্মেদের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুল মুন্নাফ, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিব উল্লাহ, সাবেক ভিপি মাহফুজ উল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনি, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ। বক্তরা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রফিকুল ইসলামের ইদ্ধনে নৌকা প্রতীক পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং হামলা করেছে।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম বলেন, নারিকেল গাছ প্রতীকের জয় ঠেকাতে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়িঘরে একেরপর এক হামলা ও ভাংচুর করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে নিজেরাই মিথ্যা ঘটনার জন্মদিয়ে আমার ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে। অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ সুলতান জনিও তার বক্তব্যে নারিকেল গাছ প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলার বিষয়টি সাজানো নাটক বলে উল্লেখ করেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ যুবলীগ সভাপতির বাড়ি ও নৌকার নির্বাচনী কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।