স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেছেন, নগরীর শম্ভুগঞ্জ মোড়ে অচীরেই ইন্টারসেকশন হচ্ছে। ইন্টারসেকশন হলে শম্ভুগঞ্জ মোড় হালুয়াঘাট, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ সড়কের যাত্রীদের সময়ের পাশাপাশি দুর্ভোগ কমবে। বুধবার সকালে জানুয়ারী মাসের কল্যাণ সভায় পুরস্কার বিতরণকালে পুলিশ সুপার এ সব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, পুলিশ সদস্যদের কাজের প্রতি আরো অনুপ্রাণিত ও মোটিভেশন করতে পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। যে সত্যিকারে কাজ করবে তাকেই পুরস্কৃত করা হবে। ব্যক্তিগতভাবে পারফরমেন্স গড়ে বাংলাদেশ পুলিশের সম্মান ও মর্যাদা বাড়ানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।
জানুয়ারী ২০২১ মাসের মাসিক কল্যাণ সভা বুধবার পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানুয়ারী মাসে ভাল, উত্তম এবং দায়িত্বশীলতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করায় ৭ পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন, হালুয়াঘাট থানার ওসি মাহমুদুল হাসান, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডিবর এসআই পরিমল চন্দ্র সরকার, শামীম আল মামুন, কোতোয়ালীর এসআই শুভ্র সাহা ও মুক্তাগাছার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম।
সভায় পুলিশ সুপার আরো বলেন, নগরীর শম্ভুগঞ্জ (তিন রাস্তার) মোড়ে অবৈধ ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করায় ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, কয়েক যুগ ধরে শম্ভুগঞ্জ (তিন রাস্তার) মোড়ে ট্রাক ও পিকআপ চালকরা অবৈধ স্ট্যান্ড গড়ে তুলে। এই মোড়ে অবৈধ ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ডে রাস্তা দখল করে যানবাহন রাখায় যানজট লেগেই ছিল। এই তিন রাস্তার মোড় হয়ে ঢাকা- শেরপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোণা ও কিশোরগঞ্জ, ভৈরব হয়ে চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ বিভিন্ন রোডে চলাচলকারী প্রতিটি যানবাহন প্রায় আধা ঘন্টা কখনো ঘন্টারও বেশি সময় যানজটে আটকা পড়তো। যাত্রী দুর্ভোগ ছিল মারাত্বক। ঈদ মৌসুম ও বিশেষ মৌসুমে আটকে পড়া অধিকাংশ যানবাহন রাত পেরিয়ে ঈদের নামাজের পরেও তাদের গন্তব্যে পৌছতে না পারার নজির ছিল।
এ সময়ে ট্রাফিকের পাশাপাশি পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘর ফেরত মানুষদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌছাতে রাস্তায় সময় পার করতো। দুর্ভোগ লাগবে ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান মাঠে নামেন।
কারণ চিহিৃত করে পুলিশ সুপারের নির্দেশেনায় সুষ্ট পরিকল্পনায় মটর মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করে অবৈধ ট্রাক ও পিকআপ স্ট্যান্ড উচ্ছেদ বা অপসারণ করা হয়েছে। পুলিশ সুপার বলেন, এই তিন রাস্তার মোড়ে আধুনিক ইন্টারসেকশন করার জন্য পুলিশ সুপার গত ৪ ফেব্র“য়ারী ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের তত্বাবধায়ক প্রশৌশলী বরাবর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে পত্র দেয়া হয়েছে। অচীরেই ইন্টারসেকশণ হবে।
অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দকে কুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন, খুনীদের গ্রেফতার এবং আদালতে স্বিকারোক্তি, মাদক ও চোরা চালান দমন, চোরাই পণ্য উদ্ধার করায় তাকে পুরস্কৃত করা হয়। হালুয়াঘাটের ওসি মাহমুদুল হাসান ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক উদ্ধার ও মামলা তদন্তে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়ায় তাকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
ডিবির এসআই পরিমল কুলেস একটি হত্যা মামলায় দ্রুততম সময়ে আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য এবং এসআই শামীম আল মামুনকে মাদক উদ্ধারে পুরস্কৃত করা হয়েছে। অপরদিকে কোতোয়ালী এসআই শুভ্র সাহা ও মুক্তাগাছা এএসআই জাহাঙ্গীর আলমকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। পুরস্কার বিতরণকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান মিয়া, জয়িতা শিল্পী, ফজলে রাব্বী, হাফিজুর রহমান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন থানা ফাঁড়ির পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।