ময়মনসিংহের ১৪ থানায় মাস্ক বিতরণ ও প্রচারণা কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৮:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশের ন্যায় ময়মনসিংহ পুলিশের আয়োজনে ১৪ থানায় একযুগে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক প্রচারণা উদ্বোধনকালে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দিন ভুঞা বলেন, করোনার ভয়বহতায় মানুষ যখন মৃত ব্যক্তি এবং করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে গেছে, পুলিশ তখন ভয়ভীতির উর্দ্বে থেকে মানবিক বিবেচনায় মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করেছে।

অসুস্থ্য ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিয়েছে। শুরু থেকেই আইজিপির সার্বিক তত্বাবধান এবং নিদের্শে এই মানবিক কাজগুলো করে আসছে। করোনা প্রতিরোধে নির্দেশনা মানুন, মাস্ক পরিধান করুন, নিজে সুস্থ্য থাকুন, দেশকে সুরতি রাখুন এই প্রতিপাদ্যকে নিয়ে সারাদেশের মত ময়মনসিংহের ১৪ থানায় একযুগে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক প্রচারণা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে রবিবার পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দিন ভুঞা এ সব কথা বলেন।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের আয়োজনে রবিবার একযুগে মাস্ক বিতরণ উদ্বোধনকালে অতিরিক্ত ডিআইজি আরো বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভয়াবহতা মারাত্বক হারে বাড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসি ও সময়োপযোগী পদেেপর কারণে বাংলাদেশে করোনার হার অনেক কম। অনেক উন্নত দেশ করোনার টিকা না পেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদেেপ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও প্রথমধাপেই বাংলাদেশ টিকা পেয়েছে।

তিনি বলেন, টিকা গ্রহণের পর আমরা উদাসিন হয়ে পড়েছি। মাস্ক ব্যবহার ভুলে বেপরোয়া চলাচল করছি। তাই আবারো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে এবং রোধ করা যায়, সেই লে আইজিপি ডঃ বেনজীর আহেেমদের নির্দেশে দেশব্যাপি একযুগে পুলিশ মাস্ক বিতরণ ও সচেতনামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে ৩১ দফা মেনে চলুন, পরিবার ও দেশকে সুরতি রাখুন। দ্বিতীয়ধাপে গত বছরের চেয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আপনার আমার ভুলের জন্য পরিবার এবং দেশ তিগ্রস্থ হতে পারে।

এ সময় পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, করোনা আবারো অধিকমাত্রায় বাড়ছে। সকলকে অবশ্যই টিকা নিতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মাস্ক না পড়ায় অপরাধী হিসাবে নয়, মাস্ক ব্যবহারের উপকারিতা এবং না পড়ার ভয়াবহতা তুলে ধরতেই পুলিশের এই মাস্ক বিতরণ এবং প্রচারণা কার্যক্রম। মনে রাখতে হবে মাস্ক না পড়ায় নিজেকে এবং পরিবারকে সুরা কঠিন হয়ে পড়বে। ময়মনসিংহ পুলিশ শুরুতেও আপনাদের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে। প্রতিদিন মাস্ক বিরতণ ও প্রচারণা অব্যাহত থাকবে।

এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া, জয়িতা শিল্পী, জাপা নেতা ডাঃ কে আর ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন, কাউন্সিলর এমদাদুল হক মন্ডল, মটর মালিক সমিতির মমতাজ উদ্দিন মন্তা, মাহবুবুর রহমান, সোমনাথ সাহা, জাপা নেতা জাহাঙ্গীর আহমেদ, এডভোকেট নুরুজ্জামান খোকন, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, সানোয়ার হোসেন চানু, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

উল্লেখ্য, এর আগে গত বছর করোনার শুরু থেকে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ মাস্ক, সাবান, সেনিটাইজার বিতরণসহ প্রতিদিন প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালিত করে। পাশাপাশি অসহায়, দরিদ্র, বেকার, কর্মহীন মানুষকে খুজে খুজে খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ প্রদান, রান্না করা খাবার বিতরণ করে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মানবিক দুষ্টান্ত স্থাপন করে জেলাবাসির নজর কেড়েছেন। এছাড়াও তিনি শীতের শুরুতে নগরীর হতদরিদ্র, অসহায়, বয়োবৃদ্ধ, ছিন্নমূল, অভাবগ্রস্থ মানুষদের খুজে খুজে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। শীতের শুরতে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে কাপড় চোপড়হীন মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ, নগরীর মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে শীতবস্ত্র বিতরণ করে জেলা পুলিশ। চলতি বছরও তিনি গাঙ্গিনার পাড় মোড়ে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করে আবারো আলোচনায় আসেন।