হালুয়াঘাটে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে পিতা আটক

প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ২৭, ২০২১

এম.এ খালেক হালুয়াঘাট-ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড পিতার বিরুদ্ধে।এ ঘটনায় (২৭ জুন) রবিবার সকালে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ মোস্তফা (৪০) নামে ধর্ষক পিতাকে আটক করেছে। আটতকৃত মোস্তফা আমতৈল ইউনিয়নের চকেরকান্দা গ্রামের মৃত চানু মিয়ার ছেলে।

অভিযুক্ত মোস্তফার চাচা কাইয়ুম ও মিজান মিয়া জানান , প্রায় ৮ বছর আগে তার স্ত্রী সংসার ছেড়ে চলে যায়। মোস্তফা প্রায় সময় নেশা পান করতো। মানুষের সাথে তার ভালো সম্পর্ক ছিলো না। তার ২ পুত্র ও বিবাহযোগ্য ১ কণ্যা রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে সে তার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। কিন্তু এলাকার স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পারেনি। আজ সকালে মোস্তফার মা আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি খুলে বললে আমি সাথে সাথেই চেয়ারম্যানকে অবহিত করি। এবং মোস্তফাকে ঘরে আটকে রাখি। পরে আমরা গ্রামবাসীরা মিলে পুলিশের হাতে তাকে উঠিয়ে দেই। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করি।

ভুক্তভোগী ১৫ বছর বয়সী ঐ তরুণী বলেন, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আমার বাবা আমাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনা যেন কাউকে না বলি সে জন্য সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমি বাড়ি থেকে বের হলেই আমার উপর চলতো নির্যাতন। গতকাল শনিবার আমি আমার কাকার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে জন্য আমার বাবা আমাকে ইচ্ছে মতো মারধর করে। বিষয়টি পরে আমি আমার দাদীকে জানাই। পরে আমার দাদা কাইয়ুম, মিজান ও প্রতিবেশীরা এসে আমার বাবাকে আটক করে রাখে। আমার উপর যে অন্যায় করা হয়েছে আমি এর কঠিন বিচার চাই। যেন আরো কোন বাবা তার মেয়ের সাথে এমন কাজ করতে না পারে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান শফিক বলেন, রবিবার সকালে আমি স্থানীয়দের কাছে এ সংবাদটি শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর আমি পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে পাষন্ড মোস্তফাকে আটক করে। আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি। আমি এই নেক্কার জনক ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্থি দাবি করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, দুপুরে ঐ মেয়েকে নিয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে। আমি প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষা করেছি। মেয়ের পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ডিএনএ টেষ্ট এর জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর জন্য বলেছি।

হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রবিবার সকালে সংবাদ পাওয়ার আমরা অভিযুক্ত আসামী মোস্তফাকে আটক করি। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানায় ধর্ষণ মামলা পক্রিয়াধীন রয়েছে।