গৌরীপুরে বাড়িঘর ভাংচুর, পুকুরের মাছ মেরে ফেলা ও গাছ কেটের নেয়ার অভিযোগে মামলা

সংবাদপত্রের এজেন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ১, ২০২১

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটী ইউনিয়নের পাছার মানিকরাজ এলাকায় বাড়িঘরে হামলা- ভাংচুর, লুটপাট, পুকুরের মাছ মেরে ফেলা ও গাছপালা কেটে নেয়ার অভিযোগ মঙ্গলবার রাতে গৌরীপুর থানায় মামলা হয়েছে।

এ মামলাটি দায়ের করেন পাছার মানিকরাজের মো. আবুল হাসেমের পুত্র মো. মোজাম্মেল হক। অপরদিকে গৌরীপুর থানায় দায়েরকৃত অপর এক মামলায় কেন্দুয়া সংবাদপত্রের এজেন্ট মো. বজলুর রহমান বজলুকে আসামী করায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ২৬জুন শনিবার প্রতিপক্ষরা মোজাম্মেল হক ও তার পরিবারের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। কেটে নেয় ফলজ, বনজ ৭৮টি গাছ। পুকুরের পানি নষ্ট করে পাড় কেটে ৬০হাজার টাকার রেনুপোনা মাছ মেরে ফেলা হয়েছে। মোজাম্মেল হক জানান, বাড়িঘর ভাংচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট, গাছ কেটে ফেলায় প্রায় ৩লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রতিপক্ষ মো. সাইদুল ইসলামের দায়েরকৃত হামলার কারণে বাড়ি কেউ ছিলো না। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. শামসুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, গাছপালা কেটে ও বাড়িঘর ভাংচুর হয়েছে। ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত চলছে।

মোজাম্মেল হক দায়েরকৃত মামলায় মো. আব্দুল জব্বার (৫২), মো. আব্দুল মান্নান (৪৮), মো. আব্দুল কাদির (৬০), মো. সাইদুল ইসলাম (২২), মো. নুরুল আমিন (২৮), মো. খাইরুল ইসলাম (২০), মোছা. মিনা বেগম (৫২), মোছা. মঞ্জুরা বেগম (৪০), মোছা. হালিমা বেগম (৫০), মোছা. সুহেদা আক্তার (৩৮), মোছা. মনিরা আক্তার (২৫), মোছা. রজনা আক্তার (৩০), মোছা. নিলুফা বেগম (৪৫), মো. আইনুল হক (২৪), মো. সুজন মিয়া (১৯), মো. আব্দুল করিম (১৯), মো. এখলাছ উদ্দিন (২২), মো. নুর মোহাম্মদ (৪৫), মো. হারুন মিয়া (৪২) আসামী করা হয়েছে। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী। তিনি জানান, ঘটনার তদন্ত ও আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

অপরদিকে পাছার মানিকরাজ গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের পুত্র মো. সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় হাসেম (৫০), মাহাবুব (৩৫), মনজুরুল হক (৩০), ফজলু (২৭), নাজমুল (২২), মনি আক্তার (২৫), বজলু (৩২) আসামী করা হয়েছে। সরজমিন তদন্তে জানা যায়, এ মামলার আসামী বজলু কেন্দুয়া উপজেলার সংবাদপত্রের এজেন্ট। তিনি নেত্রকোণা থেকে পত্রিকা সরবরাহ করে কেন্দুয়া উপজেলায় পত্রিকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার নিজ বাড়ি গৌরীপুরে হলেও ঘটনার দিন ও তার পূর্ব সময় হইতে তিনি গৌরীপুরে আসেন নাই। অথচ মামলার এজাহারে বজলু’র বিরুদ্ধে বাদীর চাচা আব্দুল মুন্নাকের শরীরের বিভিন্ন অংশ মারপিট করে বেদনাযুক্ত জখমের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সংবাদপত্রের এজেন্ট বজলুর রহমান বজলুর ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জ্ঞাপন করেন গৌরীপুর সংবাদপত্র সেবা সংস্থার সভাপতি আছির উদ্দিন চৌধুরী জলিল ও সাধারণ সম্পাদক মো. সেকান্দর আলী। তারা বলেন, আমরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পাঠকের নিকট পত্রিকা পৌঁছে দেই। বজলু সেদিনও ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পত্রিকার কাজে ব্যস্ত ছিলো। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দিয়ে অহেতুক হয়রানি না করার দাবি জানাচ্ছি।