স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান বলেছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন নিজে ভাল থাকুন অন্যদের ভাল থাকতে দিন। জীবন বাঁচলে, নিজে সুস্থ থাকলে চলাচলের সুযোগ পাবেন। বিশ্ব মহামারি কোভিট-১৯ মোকাবেলা করতে এবং সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনকে সহযোগিতা করুন। আমরা অহেতুক মানুষকে হযহারি করতে চাই না। প্রয়োজন ছাড়া কেউ অযথা বাহিরে ঘুরাফেরা করবেন না। জরুরী প্রয়োজনে বের হলেও মাস্ক পরিধান করে বের হবেন। লকডাউনের ৩য় দিন শনিবার নগরীর চরপাড়া ও গাঙ্গিনার পাড় মোড়ে মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও লকডাউন নিশ্চিতে পরিস্থিতি পর্যবেণ ও পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান এ সব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের আলোকে পুলিশ সুপার আরো বলেন, সাতদিনের লকডাউনে গত দুইদিনের তুলনায় শনিবার মানুষজনকে ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়ার প্রবনতা দেখা গেছে। তবে লকডাউন কঠোরতার সাথে বাস্তবায়নে আইন শৃংখলা বাহিনী চেষ্ঠা করছে। নগরীর অলিগলিতে সন্ধ্যার পর আড্ডা দিতে ল করা গেছে। সন্ধার পর নগরীর অলিগলিতে টহল গত দইদিনের চেয়ে আরো বেশি জোরদার করা হবে।
পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে আইন শৃংখলা বাহিনীর লকডাউন পরিস্থিতি পর্যবেণ ও পরিদর্শনকালে বিনা কারণে রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেরত পাঠানোসহ সতর্ক করা হয়েছে। এ সময় একাধিক লোকজন পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে অহেতুক এবং কোন কারণ ছাড়া পরিস্থিতি দেখতে বের হওয়ার মত কারণ বলতে শুনা গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) খন্দকার ফজলে রাব্বী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফাল্গুনী নন্দী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম, মোঃ আলাউদ্দিন, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ ও ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমানসহ জেলা ও গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম সাথে ছিলেন। পরে পুলিশ সুপার নগরীর নতুন বাজার, জেলা স্কুল মোড়, টাউনহল মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা পর্যবেণ করেন।