হালুয়াঘাটে আর্তমানবতার সেবায় উজ্বল স্বাক্ষর রেখে চলেছে জয়রামকুড়া জি,বি,সি, খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল

প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২১

এম.এ খালেক হালুয়াঘাট :
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট শহর থেকে ২ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে ২ নং জুগলী ইউনিয়নের জয়রামকুড়া মৌজার টুকিয়ার খালের তীর ঘেঁষে আদিবাসী গারো অধ্যূষিত এলাকায় অবস্থিত জয়রামকুড়া গারো ব্যাপ্টিষ্ট কনভেনশন হাসপাতাল। ১৯৬৪ সনে চিকিৎসা সেবার মহান ব্রত নিয়ে আর্তমানবতার সেবায় অষ্ট্রেলিয়ান ব্যাপ্টিষ্ট সোসাইটি গারো ব্যাপ্টিষ্ট কনভেনশনের সাথে যৌথ উদ্দোগে ১৬ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয় এই হাসপাতালটি।

সেই থেকে চিকিৎসা সেবায় মানবতার কল্যাণে চলতি ২০২০ সনে সে পূর্ণ করল ৫৭ বছর। অনবদ্য পথ চলার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জয়রামকুড়া হাসপাতাল। ধনী থেকে দরিদ্র সকলেই পাচ্ছেন সমহারে চিকিৎসার সুযোগ। ‘হাতের নাগালে কম খরচে উন্নত সেবা ’ এই তিনটি শব্দ আজ সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে এ যেন একে অপরের পরিপূরক ও সম্পূরক। হাসপাতালটির সুনাম ও খ্যাতি এদ্বতঅঞ্চল ছাড়িয়ে আজ দেশব্যাপী বিস্তৃত।

দেশের নানা প্রান্ত থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগী প্রতি বছরে এ হাসপাতালে আসছেন চিকিৎসা নিতে। মফস্বল এই জনপদে গর্বের ধন হিসেবে চিকিৎসা সেবায় আজ সুপ্রতিষ্ঠিত স্ব-মহিমায় সমুজ্জল এই হাসপাতালটি। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে রোগীদের তিল ধারনের ঠাঁই থাকে না নিরুপায় হয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেঝেতে রোগীদের বিছানা করে দিচ্ছেন।

হাসপাতালকে ঘিরে রয়েছে বিভিন্ন জনমূখী প্রশংসনীয় কর্মসূচী তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা নার্সিং ইনষ্টিটিউট তিন ব্যাচে এখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ১৫০ জন। রয়েছে ব্রাক ইউনির্ভাসিটির সহযোগীতায় মিডওয়াইফারি নার্সিং সেন্টার, নিরাপদ মাতৃ শিশু টিকাদান কর্মসূচী, ফ্যামিলি প্ল্যানিং, মাইক্রোক্রেডিট ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প, ডেভেলপমেন্ট, কৃষি উন্নয়ন, শিক্ষাস্বাস্থ্য কর্মসূচী।

প্রতিটি ক্ষেত্রেই হাসপাতালটির রয়েছে এক সফল স্বার্থক উজ্বল বৈশিষ্ট। ১৩ জন চিকিৎসক ৪৫ জন নার্স ৩০০ জন স্টাফের সমন্বয়ে নিজস্ব অর্থায়নে মানবকল্যাণে এগিয়ে চলেছে সীমান্তের এই অগ্রজ প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা এখানে চিকিৎসা না হলেও রোগীদের সার্বক্ষণিক সেবায় এম,বি,বি,এস ডাক্তার ও নার্সরা ছোট বড় অপারেশন,ডেলিভারী অপারেশনে নিজেদের মেধা ও শ্রমকে বিলিয়ে দিয়েছেন।
সরকারের জয়েন্ট অফ কোম্পানী কর্তৃক নিবন্ধনকৃত একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে এ হাসপাতালটি পরিচালিত হয়। ফিন্যান্স ম্যানেজার অংকুর ভৌমিক জানালেন রোগীদের স্বার্থ ও কল্যাণে আমাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সূদুরপ্রসারী।

নির্বাহী পরিচালক তরুণ দারিং এই প্রতিবেদককে বলেন, জয়রামকুড়া জি,বি,সি, খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের কর্মরত স্টুডেন্ড গত দুইদিনে করোনাভাইরাসে ৪৬ জনের নমোনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রেরণ করলে ২১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ আসে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদপে নেয়া হয়েছে এবং সংক্রমনের ঝুঁকি এড়াতে আক্রান্তদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও তিনি বলেন একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে প্রচার করে বেড়াচ্ছে আমাদের হাসপাতটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ এটা সর্মপর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট হাতপাতালটি কোন ভাবেই বন্ধ করা হয়নি সাভাবিক ভাবেই আমরা চিকিৎসা প্রদান করছি। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালটির ওয়ার্ড সংখ্যা বাড়িয়ে আরো আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ করতে সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষদের সহযোগীতা আজ বড় প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এও বলেন চিকিৎসা সেবার মান সর্বোচ্ছ রাখতে আমরা সদা সচেষ্ট।