স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা ইউনিটে গত চব্বিশ ঘন্টায় ২৩জনের মুত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ৯ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরো ১৪ জন মারা গেছেন।
এই সময়ে ১ হাজার ২৬৩ জনের নমুনা পরীায় ৩৭০ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। পরীা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২৯ দশমিক ২৯ ভাগ। আক্রান্তের মাঝে ময়মনসিংহ সদরে ১৮০ জন বলে সিভিল সার্জন ডাঃ নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন ডাঃ মহিউদ্দিন খান মুন জানান, সোমবার করোনায় মৃত ব্যক্তিরা হলেন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সুকা (৬১), আলি ফতেন্নেসা (৬৮), গফরগাঁওয়ের বকুলা (৮২), হালুয়াঘাটের মোহাম্মদ আলী (৬০), ত্রিশালের সাব্বির (৪২), মুক্তাগাছার লিয়াকত আলি (৬০), নেত্রকোনা সদরের হামিদা খাতুন (৫২), খালিয়াজুড়ির শাহজাহান (৫০) ও গাজীপুর শ্রীপুরের ফয়েজ বানু (৮০)। এছাড়া উপসর্গ নিয়ে মৃত ব্যক্তিরা হলেন, ময়মনসিংহ সদরের ইসমাইল (৩৫), আব্দুস সিদ্দিক (৬৪), মো. সাইফুজ্জামান (৬৪), ফিরোজা খাতুন (৬৫), নান্দাইলের রমেসা (৭৮), ফুলপুরের আব্দুল সেলিম (৫০), ভালুকার তাজুদ্দিন (৪৫), ত্রিশালের আঞ্জুমান (৭০), গফরগাঁওয়ের আব্দুস রাজ্জাক (৮০), নেত্রকোনা সদরের পাপিয়া (৩৫), পুর্বধলার আব্দুর রশিদ (৮৫), টাঙ্গাইল সদরের বিনয় কিশ পোদ্দার (৬২), মধুপুরের খলিল (৮৫), গাজীপুর শ্রীপুরের নুরুল ইসলাম (৬০)।
তিনি আরও বলেন, আইসিইউতে ১৯ জনসহ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪৫৬ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি ৮৪ ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৭ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, ময়মনসিংহ সদরে বিশেষ করে সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা শনাক্ত ও উপসর্গ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। পাশাপাশি ময়মনসিংহের একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর ও মৃতের সংখ্যাও ক্রমান্বয়ে হুরহুর করে বেড়ে চলছে। শয্যা ও আইসিইউর সংখ্যা যতই বাড়ানো হোক আক্রান্তের সংখ্যা না কমাতে পারলে হাহাকার বাড়বে। অক্সিজেন সংকট অবশ্যম্ভাবী। চিকিৎসক সংকট ও দেখা দিতে পারে।
স্বাস্থ্য বিভাগের মতে, সচেতনতা বাড়াতে এবং সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ মানাতে জেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রাকারী বাহিনীকে আরো কঠোরভাবে মনযোগী হতে হবে। পাশাপাশি শনাক্ত বাড়াতে (নিশ্চিত করতে) এন্টিজেন টেস্ট বহুগুণ বাড়াতে হবে। এ জন্য রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গ ও জনপ্রতিনিধিদেরকে মাস্ক পরে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে কর্মীদের উৎসাহিত করতে হবে।
এছাড়া মসজিদে মাস্ক পরা শতভাগ নিশ্চিতে ইমাম সাহেবগণের মাধ্যমে মুসুল্লিদেরকে করোনা আক্রান্তের হাত থেকে রা করতে নতুন করে উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালে জরুরি রোগী ছাড়া সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতাল ও প্রাইভেট চেম্বার করা ডাক্তারদের নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিতে হবে।