স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে লকডাউন পরিস্থিতি বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপর রয়েছে জেলা প্রশাসন। ময়মনসিংহে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রশাসন ক্রমেই কঠোর হচ্ছে। কঠোর লকডাউনের প্রথম তিন দিনে ময়মনসিংহে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১ হাজার ১৪৪ টি মামলা দায়ের হয়। এই সব মামলায় ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লকডাউন অমান্য করে অকারণে বের হওয়া, যানবাহন এবং দোকানপাট খোলার অপরাধে এ জরিমানা করা হয়।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আয়েশা হক জানান, ২৩থেকে ২৫শে জুলাই পর্যন্ত জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১২ জন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়োজিত ২৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ মোট ৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোর ৬ টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভাগীয় নগরীসহ জেলার সর্বত্র স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করেছেন।
গত ২৩ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে মোট ১ হাজার ১৪৪ টি মামলা দায়ের হয় এবং ৬ লাখ ২৩ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমাণা করা হয়।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার মানুষকে নিরাপদে রাখতে আমরা উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে লকডাউন পালনের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আশা করছি, মানুষ তাদের জীবন রার জন্যই লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া যাত্রীদেরও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলতে বলা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল বলেন, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জাতীয়ভাবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ২৩শে জুলাই থেকে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিছু মানুষ বিভিন্ন অজুহাতে ঘরের বাইরে অকারণে ঘুরাফেরা, কিছু যানবাহন ও দোকানপাট খোলার চেষ্টা হয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরুৎসাহিত করার পরও আইন অমান্য করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে মোকাবিলার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা একজন মানুষকেও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করতে চাই না। কিন্তু এতো সচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পরও কিছু মানুষ অকারণে বের হওয়ায় দুর্ভাগ্যবশত জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে দোকানপাট ও যানবাহনও রয়েছে। সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার ব্যাটালিয়ন এ সব অভিযান পরিচালনায় সার্বক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে।