নান্দাইল আঞ্চলিক অফিস :
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরবেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামের কৃষক মো.কাজল মিয়া ও তার পরিবার প্রতিপক্ষের অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
কাজল মিয়ার ধানের ফসলি ক্ষেতে গত ১৬ অক্টোবর বিকালে প্রতিপক্ষের গরু ক্ষতি করলে তিনি আইন সম্মতভাবে গরুটি আটক করে স্থানীয় খোয়ারে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রতিবেশী মৃত রমু শেখের পুত্র মো. আব্দুল মতিন (৫২)। এর জের ধরে কাজল মিয়ার বৃদ্ধা মাকে মারধর ও ২২ শতক জমিতে রোপনকৃত লাউ ও শিম গাছের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে প্রতিপক্ষ।
মো. কাজল মিয়ার অভিযোগ আঃ মতিন ও তার লোকজন জমিতে রোপনকৃত লাউ ও শিম গাছ উপড়ে ফেলে ব্যাপক ক্ষতি করে। সেই সাথে প্রতিপক্ষ তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
এ ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর মো.আঃ মতিন, মো.বিল্লাল মিয়া এবং মোছাঃ শরীফা আক্তারকে অভিযুক্ত করে নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন মো. কাজল মিয়া।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আঃ মতিনের সাথে কাজল মিয়ার জমি-জমা সহ বিভিন্ন বিষয়ে শত্রুতা চলে আসছে। গত ১৬ অক্টোবর বিকালে আঃ মতিনের গরু মো.কাজল মিয়ার ধানি জমিতে ধান খেয়ে ফেলায় গরুকে স্থানীয় খোয়ারে দিয়ে আসে কাজল মিয়া। গরু খোয়ারে দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিকালে আঃ মতিন ক্ষিপ্ত হয়ে কাজল ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে আঃ মতিন, তার ছেলে ও স্ত্রী বাঁশের লাঠি দিয়ে কাজলের বৃদ্ধা মা জোবেদা খাতুনকে (৬০) মারধর ও জখম করে। তারা কাজল মিয়াকেও খুন,জখম করার উদ্দেশ্যে দা,বাঁশের লাঠি দিয়ে ধাওয়া করে। কাজল মিয়াকে খুন,জখম করতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ১২ শতক জমির শিম এবং ১০ শতক জমির পাতি লাউ ক্ষেত ভাংচুর করে ও গাছ উপড়ে ফেলে। এতে কাজল মিয়ার প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মো. মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।