ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
পূর্ন প্রস্তুতি ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিট ১৯ এর টিকাদান কর্মসূচীর আয়োজনের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ময়মনসিংহের ত্রিশালের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সামাজিক দুরত্ব তো দুরের কথা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল। উধাও ছিল স্বাস্থ্যবিধি। দায়সারা ওই টিকাদান কর্মসূচীতে নাজেহালের শিকার হন কমবয়সি ও নারী শিক্ষার্থীরা।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি দেশব্যাপি চলা স্কুল-মাদরাসা শিক্ষার্থীদের মাঝে কোভিট ১৯ এর টিকাদান কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ত্রিশাল উপজেলার আওতায় ৩০ হাজার ৬০২জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ফাইজার বায়োএনটেক টিকা। ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। গতকাল সোমবার ছিল নবম দিন। এদিন টার্গেট ছিল ৬ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে টিকাদান সম্পন্নের। সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চত্ত্বরে ভিড় জমে শিক্ষার্থীদের।
হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে টিকাদান কর্মসূচীতে আনসার ও সেচ্ছাসেবকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি ছাড়াই শুরু হয় টিকা দেওয়া। এতে স্বাস্থ্যবিধি ব্যাহত এবং চরম বিশৃংখলা দেখা দেয় ওই বিশাল আয়োজনে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়েপড়ায় নাজেহালের শিকার হন কমবয়সি ও নারী শিক্ষার্থীরা। একদিনে এক সঙ্গে এতো শিক্ষার্থীকে টিকার জন্য উপজেলা সদরে উপস্থিত হতে বলাকে দায়সারা কর্মসূচী হিসেবে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।
সোমবার বিকেলে ত্রিশাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস চত্ত্বর ও উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, দুটি ভেন্যূতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছে টিকাদান কর্মসূচীতে অংশ নিতে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরাও। অনেকের মুখে মাস্ক-ই ছিলনা। সামাজিক দুরত্ব তো দুরের কথা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ছিল। উধাও ছিল স্বাস্থ্যবিধি। ধাক্কাধাক্কি ও একে অপরের উপর হুমড়ি খেয়েপড়ায় নাজেহালের শিকার হচ্ছেন কমবয়সি ও নারী শিক্ষার্থীরা।
এব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ঝিল্লুর রহমান আনম বলেন, উপজেলার আওতায় ৩০ হাজার ৬০২জন শিক্ষার্থী পাচ্ছেন ফাইজার টিকা। ইতিমধ্যেই ২৩ হাজার ৭৪৫ জন শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন। সোমবার ছিল নবম দিন। এদিন টার্গেট ছিল ৬ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে টিকাদান সম্পন্নের। আমাদের বাকি আছে ৬ হাজার ৮৫৭ জন। শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি থাকায় একটু হিমশিম খেতে হয়েছে।