শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল :
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মধুপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ সড়কে অনুমোদনহীন ও নিয়মবহির্ভূতভাবে স্পীডব্রেকার তৈরি করায় প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও পথচারীসহ সকল ধরনের যানবাহন।
বালিপাড়া, ত্রিশাল, গফরগাঁও ও হোসেনপুরের সাথে নান্দাইল উপজেলার যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক এটি।যাত্রী ও পণ্যবাহী বিভিন্ন যানবাহন, এম্বুলেন্স ও হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে এ সড়কটিতে।
সরেজমিন দেখা যায়, মধুপুর হতে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত ৯ কি.মি সড়কটিতে ১২ টি স্পীডব্রেকার রয়েছে। বীরকামট খালী উত্তর বাজারে ২টি,বীরকামট খালী জে,বি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১টি,আঃ হেলিমের বাড়ির সামনে ১টি, বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজারে ২টি, আলতাফের দোকানের সামনে ১টি,লোহিতপুর মসজিদের সামনে ১টি,হাটশিরা বাজারে ২টি, হাটশিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ১টি এবং মহেষকুড়া ঈদগাহ মাঠের সামনে ১টি স্পীডব্রেকার রয়েছে।
অটোরিকশা চালক মো.শহিদ মিয়া, মাইক্রোবাস চালক মো.দুলাল মিয়া সহ অনেকেই বলেন, স্পীডব্রেকার থাকায় গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে।গাড়ীতে ঝাঁকুনিসহ থেমে থেমে চালাতে হচ্ছে গাড়ী। বীরকামট খালী দক্ষিণ বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী মো.গোলাম মোস্তফা জানান, সড়কটিতে স্পীডব্রেকার থাকায় প্রায়শই দু্র্ঘটনা ঘটছে। আহত হচ্ছেন মহিলা, শিশু ও যাত্রী সাধারণ।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.বাবুল হোসেন বলেন, এই রাস্তাটি পূর্বে (এলজিইডি) স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ছিল।দেড় বছর পুর্বে সড়ক ও জনপথ বিভাগে রাস্তাটি হস্তান্তরিত হয়েছে। আর স্পীডব্রেকারগুলো পুর্বেকার সময়েই করা হয়েছে। তাছাড়া রাস্তাটি প্রশ্বস্থকরন করা হবে। আর প্রশ্বস্থকরণের সময় স্পীডব্রেকারগুলো থাকবেনা।