এম.এ খালেক হালুয়াঘাট :
বাড়ির পাশে সবুজের সমারোহ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে ড্রাগণ ফল গাছ। শোভা পাচ্ছে গাছে গাছে সবুজ ফল। স্বপ্নীল পরিপাটি এ বাগানটি গড়ে তুলেছেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নের দরিনগুয়া গ্রামের আমির হামজা নিজ বাগানে নিজ আঙিনায় ড্রাগন ফলের চাষ করে সফলতা দেখিয়েছেন।
মাত্র ৮৫ শতাংশ জমিতে ৩৫০ টি ড্রাগণের চারা লাগিয়ে তার যাত্রা শুরু। ১৩ মাসের ব্যবধানে ফলন আসলে চার লক্ষাধিক টাকার ড্রাগণ ফল বিক্রি করেছেন। এবছর ১০ লক্ষাধিক টাকার ড্রাগণ ফল বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।এই ড্রাগন চাষেই নিজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি নিজের উপজেলায় ড্রাগণ চাষের বৈপ¬বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে কৃষিক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখছেন এই কৃষক।
কৃষক আমীর হামজা জানান,প্রথমে ইউটিউব দেখে আগ্রহ জাগে তার চারা সংগ্রহ করে প্রথম অবস্থায় ৮৫ শতাংশ জমিতে ৩৫০ টি ড্রাগণের চারা লাগিয়ে তার যাত্রা শুরু । এই ড্রাগন চাষেই নিজে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ড্রাগণফল বাগান দেখার জন্য ছুটে আসছে কৃষকরা । তারা অন্যন্য চাষাবাদের পেছনে না দৌড়ে অনেকে আসছে বাগান তৈরির পরামর্শের জন্য।
এছাড়াও এখানে অনেকেই কাজ করে নিজেকে ও নিজের পরিবার নিয়ে সাছন্দে বসবাস করছে
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, “অন্য ফসলের তুলনায় ড্রাগণ চাষ লাভজনক। চারা লাগানোর এক বছরের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। আমির হামজার বাগানে ১৪ মাসে ফল আসে। তিনি এখানে প্রথম এই ড্রাগণ চাষ শুরু করেন। তার দেখাদেখি এখন অনেকেই ড্রাগন চাষে ঝুঁকছেন।”