জহাঙ্গীর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস বলেছেন স্মার্ট বাংলাদেশ মানে পোশাকে-আশাকে, কাজে-কর্মে, চলাফেরা, চিন্তা-চেতনা, উন্নয়নসহ সবকিছুতে আমাদের স্মার্ট হতে হবে। মেয়েরা যদি ঠোটে লিপস্টিক লাগায় ও ভাল পোষাক পড়ে এবং ছেলেরা যদি শার্ট-প্যান্ট, টাই পড়ে এসবকেও স্মার্ট বলা যায়।
শফিকুর রেজা ২৭ ফেব্র“য়ারি সোমবার সকালে শেরপুরের নকলায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলর“মে উন্নয়ন কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা ও জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত অংশীজনের অংশগ্রহণে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শফিকুর রেজা বলেন প্রধানমন্ত্রী কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর দিয়েছেন। বর্তমানে দেশে শতকরা ১৮ জন কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। ২০৪১ সনের মধ্যে এ লক্ষ্য শতকরা ৫০ জনে উন্নীত করা হবে। এতে করে বৈদেশিক রেমিটেন্স বাড়বে, স্বপ্ন পূরণ হবে স্মার্ট বাংলাদশের। স্বপ্ন পূরণ হবে জাতির জনকের।
তিনি বলেন জনসংখ্যা যেন কোনভাবেই বৃদ্ধি না পায় সেজন্য সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের মানুষকে সচেতন করতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া গর্ভবতী মায়েদের সিজার করানো যাবেনা। কারণ সিজারে গর্ভবতী মায়ের শারিরিক ও পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ’ হয়। হাসপাতালে যেহেতু লোকসমাগম বেশি হয় সেজন্য এখানে পরিস্কার পরি”ছন্নতার বিকল্প নেই। এসব বিষয়ে এখন থেকে সচেতন ও দায়িত্বশীল না হলে ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবেনা।
শফিকুর রেজা বলেন দেশে সারের কোন ঘাটতি নেই। প্রয়োজনের বেশি সার মজুদ রয়েছে। কৃষক যেন সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় সার পায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগ শেরপুরের উপপরিচালক তোফায়েল আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. বোরহান উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ, জেলা পরিষদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. ইসহাক আলী, কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ, সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম সালাহ উদ্দিন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ, সরকারি হাজী জালমামুদ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আলতাব আলী, কায়দা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট ওয়ালিউল্লাহ, ইউপি চেয়ারম্যান কামর“জ্জামান গেন্দু, উপজেলা পরিষদ মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল জলিল কাসেমী, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন আহমেদ ও মোশাররফ হোসেন সরকার প্রমুখ।
এসময় প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিভাগীয় কমিশনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময় করেন।