স্টাফ রিপোর্টার ॥ ময়মনসিংহ জেলায় সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় চতুর্থ পর্যায়ে জমিসহ ৫৩৯টি নতুন ঘর পাচ্ছেন গৃহহীন পরিবারের লোকজন। এর মধ্যে সব কটি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। জেলায় নতুন করে আরও ৩টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হতে যাচ্ছে। এর আগে ৪টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়।
আগামী ২২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এসব ঘর উদ্বোধন করে উপকাভোগীদের কাছে জমির দলিল, নামজারি এবং সনদ হস্তান্তর করবেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এদিন ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় একযোগে গৃহহীনদেরকে ঘর উপহার দেয়া হবে।
সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, ঘর ও জমি নাই এমন হতদরিদ্র মানুষকে জমিসহ নতুন ঘর তৈরি করে দিচ্ছে সরকার। এ পর্যন্ত জেলায় “ক” শ্রেণীর ২৭৯০টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় পূণর্বাসন করা হয়েছে। আগামীকাল ২২ মার্চ নতুন করে আরও ৫৩৯টি পরিবার পুনর্বাসনের আওতায় আসবে।
৪র্থ পর্যায়ে এক হাজার ৩৩৪টি গৃহের মধ্যে ৫৩৯টি ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৭৯৫টি পরিবারকে আগামী জুন মাসের মধ্যে ঘর বরাদ্দ দিয়ে অচিরেই ময়মনসিংহ জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহ জেলায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা ও জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভার মাধ্যমে এই পর্যন্ত মোট ৪১৮৯টি পরিবারকে “ক” শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তন্মধ্যে ১ম পর্যায়ে ১৩০৫টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৫টি এবং ৩য় পর্যায়ে ৮৪০টি গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে এই পর্যন্ত ২৭৯০টি “ক” শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
একই সাথে ত্রিশাল, গৌরীপুর এবং তারাকান্দা উপজেলায় ঘর বরাদ্দের মাধ্যমে এই তিনটি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করা হবে। ইতিপুর্বে ভালুকা, ফুলবাড়িয়া, নান্দাইল ও ফুলপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পারভেজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মেহেদি হাসান, আরডিসি দিলরুবা ইয়াসমিন সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।