শ্যামল চৌধুরী : সমাজে এমন কিছু মানুষ আছেন যাঁরা নিজে স্বপ্ন বুনেন,স্বপ্ন দেখেন,স্বপ্ন দেখান। নীরবে নিভৃতে সমাজ আলোকিত করতে কাজ করে যান নির্দ্বিধায়। নিজেকে সমর্পিত করেন আলোকিত সমাজ বিনির্মানে। নিজ স্বার্থে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজিকে বিলিয়ে দিতে চান সমাজের প্রয়োজনে।
এমন সব মানুষের ভীড়ে একজন আলোকিত, বই পাগল,বইপ্রেমিক মানুষ দুর্গাপুরের নাজমুল হুদা সারোয়ার। যিনি সবসময় পাঠাগার আর বই নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আলোকিত মনন গড়তে, পাঠাভ্যাস করাতে গড়ে তুলেন ভিন্ন ধারার পাঠাগার যার নাম দিলেন পথ পাঠাগার। পাঠাগার একটি নির্দিষ্ট স্হানে নির্দিষ্ট ঘরে থাকে।যেখানে গিয়ে পাঠকগণ বই খু্জেন,বই পড়েন। কিন্তু তিনি গড়ে তুলেন পথে পথে পাঠাগার
। মূল ঠিকানা দুর্গাপুর সদরে হলেও পথে পথে রয়েছে এর শাখা পাঠাগার। পথে পথে আলো ছড়ানোর বাতিঘর বানাচ্ছেন আলোর দিশারী, আলোর মশালবাহক নাজমুল হুদা সারোয়ার। ইতিমধ্যে এই বইবান্ধব পথ পাঠাগারের সেলুন শাখা, রেলওয়ে স্টেশন শাখা,ফেরীঘাট শাখা সহ বিভিন্ন হাটবাজারে পাঠাগারের শাখা বিস্তৃত করে চলেছেন। লক্ষ্য দেশের সবকটি জেলায় এর শাখা বিস্তার করা। সম্প্রতি নেত্রকোণা শহরের ছোট বাজার সেলুন শাখাটি দেখে এলাম। সেলুনের এককোণে ছোট্ট একটি রেকে সাজানো রয়েছে বিভিন্ন লেখকের বই। অবসরে পাঠক এখান থেকে পছন্দের বইটি দেখছেন, পড়ছেন।
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে মানুষ দিন দিন বই বিমুখ হয়ে যাচ্ছে। বন্ধ থাকছে অনেক পাঠাগার। পাঠাগার থাকলেও পাঠক খরা চরমে। এমনি সময়ে মানুষকে তথা বর্তমান প্রজন্মকে বইমুখী করার জন্য নাজমুল সাহেবের পথ পাঠাগার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এর প্রচার প্রসারে তার নিরন্তর প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। তিনি যে পথে পথে আলোর দীপশিখা প্রজ্জ্বলিত করছেন, আলোর মশাল নিয়ে এগিয়ে আসছেন এজন্য তাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। তার এ জীবনমুখী প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিতে আসুন যার যার অবস্থান থেকে তাকে পরামর্শ দিই,সহায়তা করি,প্রেরণা যোগাই,আলোকিত সমাজ বানাই। পথ পাঠাগার হউক জীবন খুঁজার,জীবন গড়ার,আলোকিত মানুষ গড়ার আলোক আধার।।