ধোবাউড়ায় ইটখোলার গ্যাস ও আগুনের তাপে ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসমস্ত ইটখোলা

প্রকাশিত: ১২:৪২ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০২২

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের এম.কে.বি-২ ইটখোলার গ্যাস ও আগুনের তাপে প্রায় ৫০ একর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে এসমস্ত ইটখোলা। ভুক্তভোগী এলাকার কৃষকদের দাবি চার পাঁচদিন আগে ইটখোলার মালিক পক্ষ ইট পোড়ানোর সর্বশেষ আগুন টুকু উপর দিয়ে না ছেড়ে রাতের আঁধারে নিচ দিয়েই ছেড়েছে। ফলে এই খোলার পশ্চিম দিকে আগুনের তাপে ও গ্যাসে প্রায় ৫০ একর জমির বোরোধান নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে কৃষকরা নিজেদের স্বপ্নের ফসল ইটখোলার গ্যাস ও আগুনের তাপে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করছে, যেন এর কোন প্রতীকার মিলে তাদের জন্য। ইতোমধ্যে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন ও কৃষি অফিসার মাঠে গিয়ে পরিদর্শন করেছেন বলে জানা যায়।

স্বরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ইটখোলার পশ্চিমে প্রায় ৩০ একর বোরোধানের জমিতে ইটখোলার গ্যাস ও আগুনের তাপের প্রভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। ভিন্ন কালার ধারণ করেছে ধান গাছে, কোথাও কালো আবার কোথাও সাদা দেখাচ্ছে ।

একজন কৃষক বলেন, আমি ঋণ করে ফসল করে ছিলাম, আমার একমাত্র শেষ অবলম্বনটুকুও নষ্ট করে দিয়েছে, আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন কি লাভ হবে বলে, ফসলি জমির উপর একটি ইটখোলা কিভাবে অনুমোদন পায়, যার একশত গজের ভিতরে রয়েছে একটি মাদ্রাসা, একহাজার গজের মাঝে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উপজেলার সবচেয়ে বেশী ছাত্র/ছাত্রী যে প্রতিষ্ঠানে, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাদ্রাসা, তিনটি মসজিদ, একটি মন্দির, একটি বাজার। এর বায়ুদূষণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে এম.কে.বি-২ ইটখোলার মালিক মোঃ ছাফিল উদ্দিন বলেন আমি নারায়নগঞ্জ আছি মূলত এবিষয়ে কিছু জানি না। ধোবাউড়া উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম সরোয়ার তুষার বলেন ইটখোলার ধোঁয়া বেড় সাধারণত হয় চিমনি দিয়ে, কিন্তু এখানে চিমনি দিয়ে গ্যাসটা বেড় না করে, সরাসরি নিচে একটি গ্যাস চেম্বার তারা খোলে দিয়েছে ফলে ফসল নষ্ট হয়েছে । যেসমস্ত জমির ফসল নষ্ট হয়েছে এর পরিমাণ আমাদের তালিকা অনুযায়ী প্রায় ৫০ একর হবে।

ডিসি অফিসে এর রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে আশাকরি কৃষকদের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যাবস্থা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন আমরা অভিযোগের সততা পেয়েছি এবং প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে ইতিমধ্যে ডিসি স্যার কৃষকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।