নান্দাইলে বৃষ্টির পানি জমে বিদ্যালয়ের মাঠটি হয়ে যায় জলাশয়!

প্রকাশিত: ৭:১১ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২২

শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল থেকে:

ময়মনসিংহের নান্দাইল পৌর শহরে অবস্থিত ও উপজেলা পরিষদ লাগোয়া আল আজহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠটি বৃষ্টির পানি জমে জলাশয়ে পরিণত হয়। কাঁদা আর পানি জমে
থাকায় শিক্ষার্থীসহ আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরজমিনে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টির পুরো মাঠ পানিতে থই থই করছে। পানি কিছুটা কমলে জমে কাঁদা। অনেক শিক্ষার্থী তাদের প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসা করতে হয়। শ্রেণিকক্ষে যাওয়া-আসার সময় শিক্ষার্থীদের কাপড় ভিজে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন কাল ধরে চলছে বিদ্যালয়টির পাঠদান কার্যক্রম।

বিদ্যালয়টির আশপাশ আবাসিক এলাকা। কাকচ পৌর এলাকার বাসিন্দারা এমন পরিস্থিতিতে মাঠ পেরিয়েই চলাচল করেন। পাশের সড়কও এমনভাবে পানিজমে কাঁদায় একাকার।

শিক্ষকরা জানান, মাঠে পানি জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেকে পানিতে ভিজে যাওয়ায় ক্লাসের পড়া-লেখায় মনোযোগ দিতে পারছে না, অন্যদিকে দিনের পর দিন এভাবে ভেজার কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, মাঠটি খানিকটা নিচু। তাই বৃষ্টির পানি জমে বর্ষাকালে দুই মাস ধরে পানির নিচে ডুবে থাকে বিদ্যালয়ের মাঠটি। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। মাঠটি ভরাট করার জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে বিষয়টি নিয়ে সচিত্র পোস্ট দিচ্ছেন।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বাবলি দাস জানান, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে স্কুল মাঠে পানি জমে যায়। পানি বের হওয়ার কোনো পথ না থাকায় তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় মাঠে পানি জমে থাকে। ফলে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তা ছাড়া মাঠে পানি জমে থাকার কারণে শিক্ষার্থীরাও খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। এর আগেও বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সামনের মিটিংয়ে বিষয়টি জোরালোভাবে তুলে ধরা হবে।’