ত্রিশালে হলুদ-বেগুণী রঙের ফুলকপি নজর কেড়েছে ভোক্তাদের

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

মতিউর রহমান সেলিম, ত্রিশাল ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
নতুন প্রজাতির হলুদ-বেগুণী রঙের ফুলকপির চাষ করেছেন ত্রিশাল উপজেলার বীররামপুর উজানপাড়া গ্রামের কৃষক আনসারুল হক। যা নজর কেড়েছে ভোক্তাদের। বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আধুনিক উচ্চ ফলন প্রযুক্তির রঙিন ফুলকপির জাতটির চাষ এঅঞ্চলে প্রথমবারের মত। ভিন্ন রঙের ফুলকপি হওয়ায় এর চাহিদাও খুব বেশি।

নানা রকমের সবজি চাষে উর্বর ও উপযুক্ত মাটি হচ্ছে উপজেলার রামপুর ও সাখুয়া ইউনিয়ন। সবজির গ্রাম নামে খ্যাত রামপুর-সাখুয়া। দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে যায় এখানকার সবজি। বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের “রঙিন ফুলকপি” উৎপাদনের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ত্রিশাল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ। রামপুর ইউনিয়নের বীররামপুর উজানপাড়া গ্রামের কৃষক আনসারুল হককে পরীক্ষামূলকভাবে চাষের জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ থেকে দেয়া হয়েছে, হলুদ-বেগুণী রঙের ফুলকপির দুই হাজার চারা। গত বছরের ১৫ নভেম্বর চারাগুলো রোপনের পর চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকেই তা বিক্রির উপযোগি হয়। এ অঞ্চলের বাজারগুলোতে সাদা রঙের ফুলকপির ছড়াছড়ি থাকলেও এবছরই প্রথম বাজারজাত হচ্ছে হলুদ ও বেগুণী রঙের ফুলকপি। যা নজর কেড়েছে সকল শ্রেণির ভোক্তাদের।

সরেজমিন গতকাল বুধবার দুপুরে বীররামপুর উজানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেয়া যায়, নতুন প্রজাতির হলুদ-বেগুণী রঙের ফুলকপির ক্ষেতে পরিচর্যার কাজ করছেন কৃষক আনসারুল হক। এসময় তার সঙ্গে কথা হলে তিনি সমকালকে জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে আমাকে হলুদ রঙের এক হাজার ও বেগুণী রঙের এক হাজার মোট দুই হাজার ফুলকপির চারা দিয়েছিলেন। চারাগুলো রোপনের দুই মাসের মধ্যে তা বিক্রির উপযোগি হয়। তিনি বলেন, আমি সাদা রঙের ফুলকপির চাষও করেছি, কিন্তু কাঁচাবাজার ব্যবসায়িদের কাছে রঙিন ফুলকপির চাহিদা বেশি। কাঁচাবাজার ব্যবসায়িরা সকাল হতেই ভিড় করেন ক্ষেতে, পরিমানে কম হওয়ায় সবাইকে দিতে পারিনা। ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে ৭ শতাধিক রঙিন ফুলকপি।

ত্রিশাল পৌর বাজারের সবজি বিক্রেতা খলিলুর রহমান বলেন, দামে ১০/২০ টাকা বেশি হলেও সাদা ফুলকপির তুলনায় হলুদ রঙের ফুলকপির চাহিদা বেশি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানিয়া রহমান বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতার “রঙিন ফুলকপি” পরীক্ষামূলকভাবে কৃষকের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে। ভোক্তাদের চাহিদা, উৎপাদন ও কৃষকদের আগ্রহের ওপর বড় পরিসরে চাষের মাত্রা বাড়ানো নির্ভর করবে।