শ্যামল চেৌধুরী, মোহনগঞ্জ : হাওরবাসির জান একফসলি ধান। এই একটি ফসলের উপর হাওরবাসির জীবন জীবিকা নির্ভরশীল । সারা বছর আশায় বুক বেঁধে হাওরবাসি অপেক্ষা করে একমাত্র ফসল নির্ভিঘ্নে ঘরে তোলার জন্য। অনেক সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন,আগাম বন্যা, খরা, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি,পঙ্গপালের আক্রমন, বিভিন্ন রোগবালাই হাওরবাসির মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়, বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে যায়। তাই তারা সবসময় তটস্থ থাকেন পাছে কোন দুর্যোগ হানা দেয়। এভাবেই আশা নিরাশার দোলাচালে আবর্তিত হয় হাওরজীবন। এবারও ব্রী-২৮ আগাম জাতের ধানে ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে এ জাতের ধানে অনেক জায়গা কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জে ডিঙ্গাপোতা হাওর পাড়ে জনৈক কৃষক বলেন ফসিলের রুখ তো ভালাই আছিন কিন্তুু ২৮ ধানডা গেছেগা। অনেকের ক্ষেতে রোগ ধরছে ধান নাই সাদা হইয়া চোচা হইয়া গেছে। সব আল্লার ইচ্ছা। দোয়া হরোইন যে বাকি হসলডা যেন ভালায় ভালায় ঘরে তুলতাম হারি। কোন বান পাহালে যেন না হায়। হাওর জুরে এখন উৎসবের আমেজ। ইতিমধ্যে হাওরে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এক দুই সপ্তাহের মধ্যেই পুরোপুরি ভাবে দাওয়া(ধানকাটা) লাগবে হাওরে। ধান কাটার যন্ত্র হারভেষ্টার একে একে চলে যাচ্ছে হাওরে। ধান কাটার কামলারাও (ভাগালু)কিছু কিছু যাচ্ছে হাওরে। তবে তাড়াতাড়ি ধান কাটার জন্য হারভেষ্টার মেশিনে জনপ্রিয়তা বাড়াছে দিন দিন। হাওরের কৃষক কৃষানীরাও ব্যস্ত সময় পার করছেন। যাতে করে নির্ভিঘ্নে ফসল ঘরে তুলতে পারেন। হাওর জুরে এখন শুধুই সোনালী রঙের ছড়াছড়ি। হাওরবাসির স্বপ্নসাধ একমাত্র অবলম্বন এক ফসলি ধান নিরাপদে ঘরে উঠুক এমটি প্রত্যাশা।