ফুলবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সেবা নিতে এসে কর্মচারীদের লাঞ্চনার শিকার কলেজ ছাত্র

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২৪

ফুলবাড়িয়া ( ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ গতকাল বুধবার কলেজ ড্রেস ও আইডি কার্ড গলায় ঝুলিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ ফুলবাড়িয়া জোনাল অফিসে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে বিদ্যুৎ কর্মচারীদের লাঞ্চনার শিকার হয়েছে রাহাত হোসেন নামের ফুলবাড়িয়া কলেজ শিক্ষার্থী ।
এ ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
কলেজ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফুলবাড়িয়া কলেজে ক্লাস করতে এসে শিক্ষার্থী রাহাত তার বাবার নামে নিজ বাড়ির ৪’শ ৪৫ টাকার বিদ্যুৎ বিল দেয়ার জন্য ফুলবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের দেতলায় বিল আদায়কারী কাউন্টারে যান। এ সময় কলেজ শিক্ষার্থী কাউন্টারে অবস্থানরত বিদ্যুৎ বিল আদায়কারী শিরিন শিলার কাছে ১ হাজার টাকা নোটসহ বিদ্যুৎ বিলের কাগজ জমা দিয়ে বিল পরিশোদের জন্য জানায়। ১ হাজার টাকার নোট খুচরা নেই বলে বিল আদায়কারী কাউন্টার থেকে টাকা ভাঙ্গিয়ে আনার কথা বলেন। কলেজ শিক্ষার্থী নীচে নেমে বেশ কয়েক দোকান ঘুড়ে ১ হাজার টাকার নোট ভাঙ্গিয়ে দোতলার কাউন্টারে বিলসহ টাকা জমা নিতে বলেন। পরবর্তীতে কাউন্টার খেকে শিক্ষাথীকে জানিয়ে দিলেন আমাদের কর্ম বিরতি চলছে বিদ্যুৎ বিল নেয়া যাবে না, ব্যাংকে জমা দিন। এ নিয়ে বিল জমা কাউন্টারে কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীর সাথে বাক বিতন্ডা হয়। পাশেই পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের জএম আরিফুল হক তার অফিস কক্ষ থেকে কর্মচারীর সাথে বাক বিতন্ডা শুনতে পেয়ে শিক্ষার্থীকে ঘার ধরে দোতলার নীচে পাঠিয়ে দেন। নীচ তলায় অবস্থানকারী কর্ম বিরতি পালনকারী ৮-১০ জন কর্মচারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্চিত করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের গেইটের বাইরে বের করে দেন। অফিসের বাইরে বের করে দিয়েও খান্ত হয়নি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারীরা। বুকে আইডি কার্ড ঝুলানো কলেজ ড্রেস পড়া শিক্ষার্থীকে ছিনতাইকারী বলে পেছনে পেছনে দৌড়িয়ে নিয়ে ফুলবাড়িয়া- ময়মনসিংহ সড়কের ওপারে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষার্থী প্রানের ভয়ে দৌড়ে গিয়ে সড়কের ওপারের চা দোকানে আশ্রয় নিয়ে প্রানে বাচে। পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে ২’শ গজ দূরে অবস্থিত ফুলবাড়িয়া কলেজে শিক্ষার্ধী লাঞ্চিতের ঘটনার খবর পৌছলে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেড়াও করে হামলা করবে এমন খবর পেয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমজাদ হোসেন স্থানীয় থানা পুলিশকে অবহিত করলে থানার ওসি রাশেদুজ্জামান একদল পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুড়ে এসে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বেেল সেবা নিতে আসা লাঞ্চিত শিক্ষার্থী, তার বাবা ও বিদ্যুৎ অফিসের জিএমকে ডেকে এনে আলোচনা সাপেক্ষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। অভিযোগ উঠেছে কর্মবিরোতির কোন ব্যানার অফিসের কোথায়ও টানানো ছিল না। এ ঘটনায় আতন্ক বিরাজ করছে।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আমজাত হোসেন বলেন, কলেজ ড্রেস পরিহিত এবং গলায় আইডি কার্ড পড়া অবস্থায় কি করে একজন ছাত্রকে ছিনতাইকারী বলে দৌড়িয়ে নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এটা অত্যন্ত দুঃক্ষজনক।
থানার ওসি রাশেদুজ্জামান বলেন, আমি অফিসের ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষী ব্যাক্তিদের বের করবো।
পল্লী বিদ্যুতের জি এম আরিফুল হক বলেন, আমি উদ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে খুব শিগগিরি ব্যাবস্থা নিবো।