সম্ভাবনার নতুন পর্যটন কেন্দ্র হালুয়াঘাট

প্রকাশিত: ৫:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২০

এম.এ খালেক হালুয়াঘাট :
বইছে ফালগুনী হাওয়া। মনটাও যেন উরু উরু। চলোনা ঘুরে আসি। কোথায়? গাবরাখালী পাহাড়ে। এমনটা যারা ভাবছেন, তারা বন্ধু বান্ধবী নিয়ে আসতে পারেন নির্জনে। মেটাতে পারেন ভ্রমন পিপাসা। অনেক উৎসুক মানুষ আসেন। তবে কেন আসেন? এ প্রশ্ন আসবেই।

এটি পাহাড় আর নদী ঘেরা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ৫নং গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালী পাহাড়ে । যেন সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি। মেঘালয় ঘেঁষা অবারিত সবুজের সমারোহে গাবরাখালী পাহাড়ের অবস্থান। এখানে ছোট বড় অসংখ্য টিলা। কত যে মনোমুগ্ধকর না দেখলে হয়তোবা বিশ্বাস হবেনা। যারা একবার দৃশ্যগুলো অবলোক করেছেন তারাই অনুভব করেছেন। এটি গারো পাহাড়ের পাদদেশে অন্যতম আকর্ষনীয় সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র গাবরাখালী ।


ময়মনসিংহ জেলা প্রসাশন ও হালুয়াঘাট উপজেলা যৌথ ভাবে প্রায় ১২৫ একর জায়গার উপর গড়ে তুলা হচ্ছে পর্যটন এলাকা।ইতি মধ্যে হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ থেকে ৩৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রটির সংস্কারের জমির মাপঝোঁপ,রাস্তার কাজ এগিয়ে চলছে। গাবরাখালী পর্যটন কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা প্রসাশন মিজানুর রহমান,হালুয়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম,উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম,পৌর সভার মেয়র খায়রুল আলম ভূঞা।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাজিরভিটা ইউনিয়নের গাবরাখালী এলাকাটি প্রতিবেশি পাহাড় গুলোর তুলনায় ব্যাতিক্রমী। এখানে অনেক পাহাড়ের মধ্যে উচ্চতা সবচেয়ে বেশি। এর চূড়ায় শতাধিক হেক্টর ভূমি সমতল। সবুজ আর নীলের সংমিশ্রন । যেন মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোট বড় আকাশ ছোঁয়া বিশাল পাহাড়। এর নৈশর্গিক দৃশ্য মনকে করে আবেগ তাড়িত। প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে ওঠেছে এ পাহাড়।

শীতকালে ভোরের সূর্যের আলোই ঝলমল করে উঠে পাহাড়ের চূড়ায়। পরিবেশ হয়ে ওঠে কোলাহলপূর্ন। হিজল-করচসহ নানা প্রজাতির গাছের সমারোহ আছে এখানে, যেনো সবুজে আচ্ছাদিত। অনেকটাই মিঠাপানির বন সেই ‘রাতারগুলের’ মতোই। গাবরাখালী ! নিঃসর্গের মাঝে লুকিয়ে থাকা এক অপরূপ বনাঞ্চল।জলের সঙ্গে তার মিতালী। বর্ষার অথৈজলে সে যেনো নবরূপে জেগে ওঠে। আপন সৌন্দর্যের সবটুকু মেলে ধরে, উজার করে দেয়। এসময় খুলে পড়ে তার বোরখার ঘোমটাও।আগন্তুুক আর পথিকদের কাছ থেকে সে নিজেকে আড়াল করে রাখে ঠিকই, কিন্তু আপন ভূবনের বাসিন্দাদের কাছে সে খুবই আধুনিক-উদার।বনের বিচিত্র সব গাছ, জলচর-স্থলচর-উভচর প্রাণী আর মাছশিকারীদের নিয়ে তার একান্ত আপন ভূবন। বর্ষার রাতে সীনি জল তার স্বজন, পরম আত্মার-আত্মীয়।

হালুয়াঘাট উপজেলায় এটি পর্যটন কেন্দ্র হলে ভ্রমন পিপাসুদের চাহিদা পূরনে যোগ হবে নতুন মাত্রা। দেশের পর্যটন শিল্প উন্নয়নের তালিকায় আসবে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গাবরাখালী পর্যটন কেন্দ্র। এখান থেকে আয় হবে বছরে লাখ লাখ টাকা। প্রতিবেশি গ্রামের বেকারদের জন্যে হবে কর্ম সংস্থানের নতুন পথ। দেশি বিদেশী পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হবে গাবরাখালী পর্যটন কেন্দ্র।