গফরগাঁওয়ে স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিকাকে দপ্তরির মারধর

প্রকাশিত: ৭:৪০ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০২১

গফরগাঁও ( ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
স্কুল পরিষ্কার করতে বলায় প্রধান শিক্ষিাকে ওই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশ্য প্রহরী মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৭ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে।

মারধরের শিকার হওয়া প্রধান শিক্ষিকা নাম নিলুফা খানম। তিনি উপজেলার পাগলা থানার বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অভিযুক্ত দপ্তরির নাম মো. রকিব খান

। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে মারধরের শিকার শিকিা গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাগলা থানার পুলিশ ও প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, করোনার কারনে বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অ্যাসাইমেন্ট দিচ্ছেন ও সংগ্রহ করছেন।

 

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ কাজে ব্যস্ত ছিলেন নিলুফা খানমসহ বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দুপুরের পর শিক্ষদের কাছে থাকা ‘ওয়ার্ক শীট’ শেষ হয়ে যায়। পরে প্রধান শিক্ষিকা নিলুফা খানম দপ্তরি রকিবকে ফোন করে ওয়ার্ক শীট নিয়ে যেতে বললে রকিব তা শোনেনি।

 

পরে শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে গিয়ে ওয়ার্ক শীট সংগ্রহ করেন। ওই সময় রকিব বিদ্যালয়ে গেলে নিলুফা খানম রকিবকে বিদ্যালয় পরিষ্কার করতে বলেন। এতে রকিব কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রকিব খান খুন্তি দিয়ে নিলুফার মাথার আঘাত করেন। এতে নিলুফা খানম আহত হন। বিকালে নিলুফা খানম গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

রকিব খান মুঠোফোনে বলেন, আমি তাঁকে (নিলুফা খামন) মারধর করিনি। অভিযোগ মিথ্যা ।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত ) সালমা আক্তার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি । প্রধান শিক্ষকা নিলুফার খানমকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রথমে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। তদন্ত সাপেক্ষে শিক্ষা বিভাগের পক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাগলা থানার ওসি মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পাওয়ায় রকিবকে আটক করার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ।