ধোবাউড়ায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ৫ ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম

তলিয়ে গেছে ১৬শ হেক্টর আমন ধান ও ৪১ হেক্টর জমির ফিসারি

প্রকাশিত: ১:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০

জালাল উদ্দিন সোহাগ, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ- ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত ৫ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম। বানের পানিতে ভাসছে ১৬শ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান। ৪১ হেক্টর জমির ফিসারী তলিয়ে মৎস চাষীদের ক্ষতি প্রায় ২ কোটি টাকা।


পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের রাউতি গ্রামে নিতাই নদীর ভাঙনের তীব্র ¯্রােতে কয়েকটি বাড়িও বিলীন হয়ে গেছে নিতাই নদী গর্ভে। নিতাই নদীর ভাঙনের তীব্র ¯্রােতে বিধ্বস্ত হয়ে বিপর্যস্ত গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বসত বাড়িতে বানের পানি ওঠায় পানিবন্দী হয়ে অনেকেই তাঁদের পরিবারের শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদিপশু নিয়ে রয়েছেন মহাবিপাকে। বানের পানিতে ভেসে গেছে শত শত মৎস্য চাষীর সোনালী স্বপ্ন।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ১৬শ হেক্টর জমিতে কৃষকের রোপিত রোপা আমন ধান রয়েছে পানির নিচে। উপজেলা মৎস অফিস সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় ৪১ হেক্টর ফিসারী ও পুকুর তলিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার তিগ্রস্থ হয়েছে মৎস চাষীরা। অপরদিকে কর্মহীন হয়ে চরম দূর্ভোগে পানিবন্দী অসহায় সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কালিকাবাড়ি, কাশিপুর, বল্লভপুর, পঞ্চনন্দপুর, সেহাগীপাড়া রনসিংহপুর, রানীপুর, গৌরিপুর, বহরভিটা, বেতগাছিয়া, উদয়পুর, ঘুঙ্গিয়াজুড়ি, রাউতিসহ প্লাবিত অর্ধশতাধিক গ্রামে মানবেতর জীবন যাপন করছেন পানিবন্দী অসহায় সাধারণ মানুষেরা।

এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট। বাড়িঘরে পানি ওঠায় গবাদি পশুর আশ্রয়স্থল নিয়ে বন্যাকবলিত মানুষেরা পড়েছেন মহা-দূর্ভোগে। গবাদি পশু নিয়ে আত্বীয়ের বাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। এছাড়াও নিতাই নদীর পাড় ভাঙন অব্যাহত থাকায় বল্লভপুর, রাউতি, মাইজপাড়া ও কামালপুর গ্রামের শতাধিক পরিবার ঝুঁকির মুখে আতংক নিয়ে দিন পার করছে। পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাসহ প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্টানও তলিয়ে গেছে বানের পানিতে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিকুজ্জামান বলেন, বন্যায় তিগ্রস্থদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্থদ্রে আর্থিক সহায়তার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।