ধোবাউড়ায় বেড়িবাঁধের ভাঙ্গনে বিপাকে তিন ইউনিয়নের মানুষ

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ
বর্ষার শুরু থেকেই বেড়িবাঁধ নিয়ে আতঙ্কে থাকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ৩ ইউনিয়নের মানুষ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আসা নিতাই নদী বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা, দক্ষিণ মাইজপাড়া ও ঘোষগাঁও ইউনিয়ন দিয়ে ২৯ কিলোমিটার ধরে প্রবাহিত। এর মধ্যে দক্ষিণ মাইজপাড়া ১২ কি.মি, ঘোষগাঁও ৮ কি.মি ও গামারীতলা দিয়ে ৬ কিলোমিটার প্রবাহিত।

ঘোষগাঁও ও কলসিন্দুর ইউনিয়নের ৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কংক্রিটের ব্লক দিয়ে বাঁধ রক্ষা করা হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কোথাও কোথাও বেড়িবাঁধই নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ন বাঁধ রক্ষায় প্রায় ২০ বছর আগে ঘোষগাঁও ও গামারীতলা ইউনিয়নের প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশে কংক্রিটের ব্লক দেওয় হয়েছিল।

বাকি ২৬ কিলোমিটার অংশ রক্ষায় দীর্ঘদিনেও কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় বারবার ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। স্থানীয়রা জানান, ভারতে বৃষ্টি হলেই নিতাই নদীতে ঢল নেমে আসে এবং প্রতি বছরই কোন না কোন জায়গা দিয়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়।

ভাঙ্গন কবলিত এলাকার অধিবাসীদের ঘর-বাড়িসহ জানমালের ক্ষতি হয়। এ আতঙ্কে বর্ষার শুরুতেই এলাকা ছাড়তে থাকে নদীর পাড়ের অনেক পরিবার। তিন ইউনিয়নের মধ্যে যেকোনো একটি স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিলে প্লাবিত হয় পুরো উপজেলাবাসী। নিতাই নদীর পানিতে ভাটি অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ায়, আমন ধান চাষ করতে পারে না কৃষি নির্ভরশীল এলাকার কৃষকরা।

গামারীতলা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, ‘চলমান মৌসুমে একসঙ্গে বেড়িবাঁধের ছয়টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নিতাই নদীর ঢলের পানিতে সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হয় পুরো উপজেলাবাসী।’ বেড়িবাঁধের বিষয়টি আমলে আনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম বলেন, ‘বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের লক্ষ্যে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি এবং যথাসম্ভব কাজ করার জন্য চেষ্টা করছি।’