ত্রিশালে মসজিদে চলাচলের রাস্তায় বেড়া প্রতিবাদ করায় মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি

প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২১

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ব্যক্তি শত্রুতার জেরে মসজিদে মুসল্লিদের চলাচলের রাস্তায় বেড়া দিয়েছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী। প্রতিবাদ করায় বিজয়ের মাসে স্বাধীনতার সূর্যসন্তান এক মুক্তিযোদ্ধাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকি দিয়েছে নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় দেয়া ওই গোলাম হাফিজ শিমু নামে ওই প্রভাবশালী। এমন কান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসিদের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়। সমালোচিত ওই ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের ডাকেরচক গ্রাম এলাকায়।

জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর আগে উপজেলার কানিহারী ইউনিয়নের ডাকেরচক গ্রামের মোহাম্মদ আলী মন্ডল পৈতৃক সম্পত্তি হতে প্রায় তিন একর জমি মড়লবাড়ী জামে মসজিদের নামে ওয়াক্ফ করে দেন। সেই সময়ে ওই জমিতে নির্মাণশৈলীর কারুকার্য মন্ডিত তিন গুম্ভুজওয়ালা একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। মসজিদ উন্নয়ন কাজের জন্য ফসলি জমি ও পুকুরও খনন করা হয়েছিল।

ব্যক্তি প্রভাবকে প্রতিষ্ঠিত করে প্রায় ১০ বছর ধরে ওই মসজিদের দায়িত্ব পালন করছে গোলাম হাফিজ শিমু। তার বিরুদ্ধে মসজিদের সম্পদ ও উন্নয়নের টাকা লুটেপুটে খাওয়ার অভিযোগ তুললে গত ২৩ ডিসেম্বর মসজিদে মুসল্লিদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বেড়া দেয় শিমু। প্রভাবশালী শিমুর এমন কান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসিদের সমালোচনার ঝড় উঠে।

বেড়া খুলে ফেলতে বলা এবং ওইসব ঘটনার বিষয়ে কথা বলতে গেলে অন্যান্যদের মতই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমানকেও হাত-পা ভেঙ্গে ফেলাসহ নানাভাবে হুমকি দেন শিমু। তার এমন কান্ডে স্থানীয় এলাকাবাসিদের মধ্যে বইছে সমালোচনার ঝড়। রাস্তায় বেড়া ও হুমকির ঘটনায় সোমবার রাতে মুক্তিযোদ্ধার ভাতিজা আব্দুছ ছাত্তার বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় কামাল হোসেন, কবির আহমেদসহ অন্যান্যরা বলেন, মসজিদে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা এবং বিজয়ের মাসে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকি ও গালিগালাজ করা গর্হিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেছুর রহমান বলেন, বেড়া খুলতে বলায় আমার হাত-পা ভেঙ্গে ফেলার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে শিমু। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আসলেও নাকি ওই বেড়া খুলতে দেবে না সে। আমি এসব ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করছি।

গোলাম হাফিজ শিমু প্রভাবের সঙ্গেই বলেন, মসজিদ সম্পদ ও উন্নয়নের টাকা লুটপাট করিনি। আমার বিরুদ্ধে কি করবেন, করেন গিয়ে।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।