বিনা’য় পারমানবিক এবং আধুনিক টেকসই কৃষি শীর্ষক ভার্চুয়ালী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ময়মনসিংহে “পারমানবিক এবং আধুনিক গবেষণার মাধ্যমে টেকসই কৃষি’ শীর্ষক তিনদিন ব্যাপী ভার্চুয়ালী আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) আয়োজিত সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন কৃষমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক এমপি। তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনে প্রধানত পারমাণবিক কৌশল, মিউটেশনসহ আধুনিক কৃষি গবেষণা পদ্ধতিতে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। সম্মেলনে ১২ টি দেশের ২০ টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২০০ জনের বেশি বিজ্ঞানী সরাসরি যুক্ত থাকবেন।

এসময় বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউেেটর মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, হারভেস্টপ্লাস এর কান্ট্রি ম্যানেজার ড. মো: খায়রুল বাশার, এসিআই এগ্রো বিজনেস লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ. এইচ. আনসারি, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের সিনিয়র ডিরেক্টর মো: আনিসুর রহমান।

বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি গবেষণা সিস্টেমের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) একটি অন্যতম ও একক প্রতিষ্ঠান যার প্রধান কাজ হলো পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখা। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে বিনা এযাবৎ ১৮টি গুরুত্বপূর্ণ ফসলের মোট ১১৮ টি উচ্চ ফলনশীল জাত এবং ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি, রোগ ও পোকা দমন, পানি সাশ্রয়ী যুগোপযোগী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের কৃষির উৎপাদনশীলতা ও শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধিতে অবদান রেখে চলছে।

 

সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা’র মহাপরিচালক ড. মির্জা মোফাজ্জল ইসলাম এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (ওঅঊঅ) প্রতিনিধি ড. আইজ্যাক কফি বিমপং।
সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত এবং পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তার মোকাবেলায় কৃষিতে পারমাণবিক শক্তি ও সম্মেলনে আধুনিক কলাকৌশলের ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে। গবেষণালব্ধ ফলাফল ও বিজ্ঞানীদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে ভবিষতে আন্তর্জাতিকভাবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত এবং প্রতিকূল পরিবেশ উপযোগী জাত প্রযুক্তি উদ্ভাবন বিষয়ক যৌথ গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব হবে।