দুর্গাপুরে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিজিএফের টাকা আত্মসাৎ’র অভিযোগে তদন্ত কমিটির গণশুনানী

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, জুন ৫, ২০২১

কলিহাসান, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে গত ঈদুল ফেতরের আগে সরকারের বরাদ্দ বিজিএফের আওতায় জনপ্রতি ৪৫০ টাকা প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে।

ওই ইউনিয়নের বরাদ্দ তালিকার ৭৩ জনের টাকা আত্মসাৎ’র অভিযোগে উপজেলা ইউএনও’র নিকট অভিযোগ দাখিল করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জ্বল সরকার।

এ অভিযোগে গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি  (৪ মে) শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত অনেকের বক্তব্য শুনেন। দুপুরের দিকে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

গঠিত তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান এবং অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জহুরা, একাডেমিক সুপারভাইজার মো. নাসির উদ্দিন ও ইউএনও অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুবল কর।
তদন্ত কমিটির আহব্বায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনসহ উপস্থিত অনেকের বক্তব্য শুনেছি। আঙ্গুলের ছাপ যাচাই-বাছাইয়ের পরে প্রতিবেদন ইউএনও এর নিকট জমা দেয়া হবে।

দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তির পরে কৃষি কর্মকর্তাকে আহব্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তদন্তের জন্যে। এ কমিটি গত সপ্তাহে অনেকের শুনানি করেছে। শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে আরও অনেকের শুনানি করছে জানতে পেরেছি। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থার কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. উজ্জ্বল সরকার উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তাতে উল্লেখ আছে ঈদুল ফেতর উপলে ওই ইউপির ১৫৫১ জনের জনপ্রতি ৪৫০ টাকা সরকার থেকে বরাদ্দ আসে।

এ বরাদ্দের জন্য তিনি ৯০ জনের তালিকা দিয়েছিলেন এবং ৭৪ জনের নাম বিজিএফর আওতায় তালিকাভূক্ত হয়। ৭৪ জনে মধ্যে একজন ৪৫০ টাকা পেলেও বাকি ৭৩ জনের ৩২ হাজার ৮৫০ টাকা চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছে।