শিশুদের বিদ্যালয়মুখী করতে মায়েদের ভূমিকা রয়েছে-ইউএনও

তারাকান্দায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ উপস্থিতির লক্ষে মায়েদের নিয়ে উঠান বৈঠকে

প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩

রফিক বিশ্বাস,  তারাকান্দা।।
“ সবুজ পাঠশালা  গড়ার ”  প্রতিপাদ্য  সামনে রেখে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি মিড ডে মিল ও ঝরে পড়া রোধ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার তালদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে তালদিঘি সরকার বাড়ীতে এই উঠান বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের মায়েরা অংশ গ্রহণ করেণ।

উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষা-বান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত । বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জয়নুল আবেদীন খোকার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জীবন আরা বেগম, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও তালদিঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত তার বক্তৃতায় মা-কে শিশুর প্রথম শিক্ষক আখ্যা দিয়ে অপসংস্কৃতি থেকে নিজকে ও শিশুদের দূরে রেখে সন্তানদের প্রতি যত্নশীল হতে বলেন। একজন ভালো সন্তান এলাকার গর্ব আর দেশের সম্পদ। এসম্পদ রক্ষা করতে হলে সন্তানদের প্রতি নজর রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, মেয়ে সন্তানদের অন্য দৃষ্টিতে দেখার কোন সুযোগ নেই । তাদেরকে কোন অংশ থেকে বঞ্চিত করলে নিজেই বঞ্চিত হবেন। তিনি ছেলে মেয়ে দুজনের প্রতি সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য উপস্থিত মা-দের প্রতি আহবান জানান।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম হাতিয়ার হলেন মা। একজন মা পারেন তার সন্তানকে একজন সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হলে শিশুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে তাদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান প্রতিটি মায়ের কাছে আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন- শিশুকে মানুষ করতে হলে মাকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তার পাশে বসে থাকতে হবে। তার খোঁজ খবর রাখতে হবে। তবেই সে মানুষের মতো মানুষ হবে। তিনি আরো বলেন, মা জ্ঞানী হলে তার সন্তানও জ্ঞানী হবেই। একজন শিক্ষার্থী প্রতিদিন স্কুলে আসলে তার মেধাশক্তি বৃদ্ধি পাবেই। সন্তানকে অবশ্যই প্রতিদিন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে। এতে বিদ্যালয়ের নারী অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।