ঈশ্বরগঞ্জে বিদ্রোহী প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা প্রার্থীরা

সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২২

সাইফুল ইসলাম তালুকদার ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) :
আগামীকাল ৭ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহে ঈশ্বরগঞ্জে সপ্তম ধাপের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন নৌকা প্রার্থীরা। এবারের চেয়ারম্যান পদে মোট প্রার্থী রয়েছেন ৮১ জন।

ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী রয়েছেন ১১জন, দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন ২৮জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন ৪২জন।  মেম্বার পদে ৪শ ২২ জন ও সংরক্ষিত মহিলা পদে ১শ ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ের পথ নিস্কন্ঠক করতে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলবুল গত ২৬ জানুয়ারি সকল ইউনিয়ন পরিষদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য পত্রের মাধ্যমে আহবান জানান। আহবানে কোন বিদ্রোহী প্রার্থী সাড়া না দেওয়ায় ৩১ জানুয়ারি ও ৩ ফেব্রুয়ারী দুই দফায় ২৮জন বিদ্রোহী প্রার্থী ও ১৩জন পৃষ্টপোষককে বহিস্কারের জন্য উপজেলা ও জেলা কমিটি সুপারিশ করে কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে তালিকা প্রেরণ করেছেন।

দলীয় মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের মাঠে বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার জন্যে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। পৃষ্টপোষক ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা বহিস্কারের পদক্ষেপের তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রার্থীকে হারিয়ে বিজয়ের অভীষ্টলক্ষে পৌঁছতে দিন রাত নিরলস ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিদ্রোহীদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণার কৌশলের কাছে দলীয় প্রার্থীরা কঠিন চ্যালেঞ্জের মূখে পড়ে এখন দিশেহারা অবস্থা। নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্বতন্ত্র দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া অফিস ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিটিং মিছিল ও প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে উপজেলার সকল ইউনিয়নের ভোটের মাঠ। গ্রামীন জনপদের বিভিন্ন হাট বাজার রাস্তার মোড়ের দোকান পাট চায়ের স্টল গুলোতে চলছে নির্বাচনী জয় পরাজয়ের চুল ছেড়া বিশ্লেষণ।

উপজেলা আলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম বুলবুল জানান, নির্বাচনের আগে যেসব বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়াবে তিন মাস পর বহিস্কারের পত্র কেন্দ্র থেকে না আসলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক তারা বহিস্কার হয়ে যাবেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুল হক জানান, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬শ’ ৮১ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০ জন। নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৩০ হাজার ৬শ’ ২০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গ ১ জন ভোটার রয়েছে। স্থায়ী ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা রয়েছে ১২৩ টি। মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা রয়েছে ৭৪৮ টি, তারমধ্যে স্থায়ী ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭৩৬, অস্থায়ী কক্ষ রয়েছে ১২ টি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ হাফিজা জেসমিন জানান, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে সকল ইউনিয়নে পর্যাপ্ত পরিমাণ র্যা ব পুলিশ বিজিপি আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়ন থাকবে।