আন্তর্জাতিক ডেস্ক :সোমবার চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়াংজি অঞ্চলের উঝো শহরের কাছে ১৩৩ জন আরোহী নিয়ে একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে চীনা সংবাদমাধ্যম পিপলস ডেইলি বলছে, বিধ্বস্ত এই বিমানের কোনো আরোহীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
খবর অনুযায়ী, বিধ্বস্ত হওয়ার পরপরই বিমানটিতে ধরে যাওয়া আগুন পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিমান বিধ্বস্তের একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, পাহাড়ের গায়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষে আগুনের বিশাল কুণ্ডলি ও ঘন ধোঁয়া উড়ছে।
গুয়াংজির একজন অগ্নিনির্বাপক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে চীনা এই দৈনিক বলছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষের মাঝে কোনো যাত্রীর বেঁচে থাকার চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
বিমানটির বিধ্বস্তের ভয়ঙ্কর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, এটি গুয়াংশির উঝো এলাকার আকাশে ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় চলার সময় আচমকা পাহাড়ে আছড়ে পড়ছে। এসময় বিমানটি একেবারে খাড়াভাবে অর্থাৎ বিমানের সামনের অংশ নিম্নমুখী এবং পেছনের অংশ আকাশের দিকে থাকা অবস্থায় অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিধ্বস্ত হয়।
চায়না এভিয়েশন রিভিউ নামের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে বিমান বিধ্বস্তের একটি ভিডিও টুইট করা হয়েছে। ১৭ সেকেন্ডের এই ভিডিও টুইট করে বলা হয়েছে, এমইউ৫৭৩৫ বিমানের শেষ সেকেন্ড। এটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হওয়ার আগে ব্যাপক গতিতে বিমানটির নাক বরাবর বিধ্বস্ত হওয়ার ভিডিও বলে দাবি করেছে চায়না এভিয়েশন রিভিউ।
বিমানটি মাত্র ১ মিনিটি ৩৬ সেকেন্ডের ব্যবধানে ২৯ হাজার ১০০ ফুট উচ্চতা ৩ হাজার ২২৫ ফুট উচ্চতায় নেমে আসে। এর পরপরই বিমানটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
চীনের বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রশাসন (সিএএসি) বলছে, বোয়িং ৭৩৭ এর এমইউ৫৭৩৫ ফ্লাইটটি কুনমিং শহর থেকে গুয়াংঝু যাচ্ছিল। গুয়াংশি অঞ্চলের উঝৌ এলাকার আকাশে থাকাকালীন বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী এবং ৯ জন ক্রু ছিলেন। যদিও চীনের সরকারি গণমাধ্যমের খবরে বিধ্বস্ত বিমানে ১৩৩ জন ছিলেন বলে জানানো হয়েছে।