শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারুকলা ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ প্রেসকাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এ সংবাদ সম্মেলন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ময়মনসিংহে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ আব্দুর রউফ।
এ সময়ে তিনি সংবাদ বলেন, বিশেষায়িত চারুকলা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ এমপিও ভুক্ত হয়, প্রতিষ্ঠানটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে, ২০০৫ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারাদেশের চারুকলা কলেজ গুলোর মধ্যে ২০০৭ সালে বি.এফ.এ (প্রি-ডিগ্রী) পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও ২০০৮ সালে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং বি.এফ.এ (পাস) ডিগ্রী পরীক্ষায় শতভাগ উত্তীর্ণ। এখন পর্যন্ত ফলাফল ধারাবাহিক ভাবে ভাল করে আসছে। বৃহত্তর ময়মনসিংহে চারুকলা শিক্ষায় বিশেষ অবদান রেখে আসছে।
এখান থেকে চারুকলা ডিগ্রী নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে চারুকলায় (প্রি- ডিগ্রী)১ম ও ২য় বর্ষে ও ডিগ্রী (পাস) (পার্ট -১,২,৩) কোর্স মিলিয়ে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত, বর্তমানে শিক্ষক-কর্মচারী সহ ২২ জন কর্মরত আছেন, গভর্নিংবডি অত্যন্ত দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছেন। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠনের শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ নিয়মিত অনলাইনে পাঠদান করছেন।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে একটি মহল বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ,বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকা ও ফেইজবুক কে মাধ্যম করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক। এই সব কিছুর মুল হোতা হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক ও তার কিছু সহযোগী।
হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা বসত দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তমূলক তথ্য উপস্থাপন করে আসছেন, এছাড়াও গভর্নিংবডির বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।
লক্ষ্য করা যাচ্ছে একটি মহল বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা ,বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য উপস্থাপন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছেন বিভিন্ন সময় পত্রপত্রিকা ও ফেইজবুক কে মাধ্যম করে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, অসত্য তথ্য প্রচার করা হচ্ছে যা খুবই দুঃখজনক।
এই সব কিছুর মুল হোতা হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক ও তার কিছু সহযোগী। হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ লাভে ব্যর্থ হয়ে প্রতিহিংসা বসত দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তমূলক তথ্য উপস্থাপন করে আসছেন, এছাড়াও গভর্নিংবডির বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন।
২০১৭ সালে নিয়োগ পক্রিয়া শেষ না হতেই অরাজকতা সৃষ্টি করেন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে বর্তমান অধ্যক্ষকে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানের দরজার তালা অকেজো ও দরজায় ঝালাই করে ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যবহারিক পরীক্ষা বানচালের চেষ্টা করেন। এই সব কাজে তার সহযোগী মো: রুবেল মিয়ার সহায়তায় এই অপকর্ম গুলো করেন।
এই সব ঘটনার থানায় জিডি করা হয়েছিল জিডি নম্বর ১৯৭৬/২০-০৪-২০১৮ এবং ১৮৭৪ /২৩-০৬-২০১৮ । হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক কলেজে প্রবেশে নিষেধ থাকা সত্ত্বেও জোর পূর্বক প্রবেশ করে গভর্নিংবডির সভাপতি মহোদয় কে আঘাত করে রক্তাক্ত করে, সেই ঘটনায় মামলা হয় এবং হোসাইন মোহাম্মদ ফারুক আসামী, এফআইআর নং- ১২৫/৩৪৬ তাং ৩০-০৩-২০১৯। অতীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে অধ্যয়ন কালে সহপাঠীকে মারধর করা ও বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ লাভে ব্যর্থ হয়ে কয়েক জন শিক্ষক কে মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।
বিশ্বদ্যিালয়ের সমাবর্তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ছবি ব্যবহারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ১২০ কোটি টাকার হয়রানিমূলক মামলা করে রেখেছেন। এখন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারুকলা ইনস্টিটিউট এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছেন, প্রশাসন কে ভুল বোঝাচ্ছেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে কয়েকবার প্রশাসন কে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে Demand for justice মহামান্য হাই কোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, রিট পিটিশন নং -৮১৯১/২০২০ খ্রি.।
শিক্ষক -কর্মচারীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা ডিগ্রী সক্রান্ত ও নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে সমস্ত তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা ও অযৌক্তিক। সকল নিয়োগ বৈধ ও বিধি সম্মতভাবে হয়েছে প্রতিষ্ঠান এমপিও হওয়ার আগেই। নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারী অনেকদিন যাবৎ নামমাত্র প্রায় সময় বিনাবেতনে কাজ করেছেন এমপিও হওয়ার আগ পর্যন্ত। অকৃতকার্য কে নিয়োগ কথাটির কোন গ্রহণ যোগ্যতা নেই। এখানে উল্লেখ্য যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মাউশি ডিজির প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা গুলো সম্পন্ন হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাউশি যথাযথ পক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ভুক্ত করেছে। উল্লেখ্য প্রতিষ্ঠান, এমপিও ভুক্ত প্রক্রিয়াকে অপপ্রচার চালিয়ে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন। এই সমস্ত অপপ্রচার মূলক কর্মকা-ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন চারুকলা ইনস্টিটিউট এর ভাবমূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, আমরা প্রতিষ্ঠনের পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মোঃ ফরহাদ হোসেন তরফদার, পলাশ দত্ত, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নাজমুন নাহার আকন্দ, মোঃ মোসারফ হোসাইন, রেশমা আহম্মেদ, তাহরিমা বেগম, ঈশ্বর চন্দ্র সরকার, আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, মোহাম্মদ লিটন মিয়া, শাহাজাদা পারভেজ, সহ গ্রন্থাগার অন্যান্য দে, অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলাম, তাসলিমা আক্তার, শফিকুল ইসলাম, আব্দুল রাব্বি রাশেদ, আসমা আক্তার প্রমূখ।