ময়মনসিংহ নগরীর শতভাগ মশা নিধনে সর্বাত্বক চেষ্ঠা করছি- মসিক মেয়র টিটু

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২১

মো: কামাল হোসেন  :

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেনের মেয়র ইকরামূল হক টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ময়মনসিংহকে একটি আধুনিক নগরী গড়ে তুলতে সীমিত সামর্থের মধ্যে সর্ব্বোচ্য চেষ্ঠাসহ নগরবাসিকে চূড়ান্ত সেবা দিতে সর্বাত্বক চেষ্ঠা করছি।

মশার উপদ্রপ থেকে নগরবাসিকে রা করতে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশার বংশ নির্মূল করতে দুুই শতাধিক প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জৈবিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় নগরীর মাকরজানি খালে ব্যাঙ উন্মুক্ত কর্মসূচী উদ্বোধনকালে মেয়র ইকরামূল হক টিটু এ সব কথা বলেন।


মেয়র আরো বলেন, নগরীতে শতভাগ মশক নিধনে চেষ্ঠা করছি। এ জন্য নগরবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের প থেকে প্রতিটি খাল, ড্রেন ও ডোবা নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে।

নাগরিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিটি বাসবাড়ির আঙ্গিনা, জোপঝাড় দায়িত্ব নিয়ে নিজেদেরই পরিস্কার করতে হবে। পানির স্বাভাবিক গতি বহমান রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের প থেকে দুই শতাধিক মশার উৎপত্তিস্থল ধবংস করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর পরও শতভাগ মশা নিধন না হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞানীদের পরামর্শে জৈবিক পদ্ধতিতে মশা নিধনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জৈবিকভাবে মশা ও লার্ভা প্রাণীর মাধ্যমে মশাি নধন করা সম্ভব। ব্যাঙ, মাছ ও হাঁস জাতীয় প্রাণি মশার লার্ভা ও মশা খেয়ে ধ্বংস করে ফেলে।

এই পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব দাবি করে মেয়র আরো বলেন, পর্যাক্রমে নগরীর প্রতিটি খাল, বড় ড্রেন, বদ্ধ জলাশয়ে ব্যাঙ ছাড়া হবে। এছাড়া আবদ্ধ জলাশয়ে কমিউনিটিভাবে হাস এবং গভীর জলাশয়ে মাছ ছাড়া হবে। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে মেয়র টিটু বলেন, করোনারোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বুধবার থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে।

প্রত্যেককেই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করে নিজে, পরিবার এবং দেশকে করোনার হাত থেকে রা করতে দায়িত্বশীল হতে হবে। শতভাগ লকডাউন নিশ্চিত করতে সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যানেল মেয়র-১ আসিফ হোসেন ডন, প্যানেল মেয়র-৩ শামীমা আক্তার, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ মানস কুমার বিশ্বাস, খাদ্য ও সেনিটেশন কর্তকর্তা দীপক মজুমদার, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মহাব্বত আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।