গৌরীপুরে দুই মাথাওয়ালা বাছুর প্রসব : দেখতে উৎসুক জনতার ভিড়

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০

গৌরীপুর আঞ্চলিক অফিস  :
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের চুড়ালি গ্রামে কৃষক সাদ্দাম হোসেনের গোয়ালে দেশীয় প্রজাতির একমাত্র গাভীটি বুধবার (২১ অক্টোবর/২০২০) সকালে দুই মাথাওয়ালা একটি বকনা বাছুর প্রসব করেছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে একনজর দেখার জন্য উৎসুক জনতার ভিড় জমে উঠে।


বাছুর দেখতে আসা প্রতিবেশীরা বারবার তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতালের ডাক্তারকে খবর দেয়ার জন্য। তবে হাসপাতালে ডাক্তারের ভিজিট দেয়ার ক্ষমতা নেই এ দরিদ্র কৃষকের তাই দু’মাথা বিশিষ্ট এ বাছুরটির চিকিৎসা জুটেনি।
চুড়ালি গ্রামের মৃত শামছুল হকের পুত্র সাদ্দাম হো

সেন (২০) জানান, তার মা অসুস্থ্য বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্বপ্ন ছিলো গাভীটির বাচ্চা প্রসব করবে ফুটফুটে একটি বাচ্চা হবে। সেই গাভীর দুধ মাকে খাওয়াবেন। কৃষকের এ স্বপ্নটিকে ভেঙে দিয়ে বুধবার সকালে গাভীটি প্রসব করে দু’মাথাওয়ালা একটি বাছুর। বাচ্চা প্রসবের মুর্হুতে পরিবার-পরিজন ও কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠে। বাচ্চা প্রসবের পরেই লালিত সব স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।

তিনি আরো জানান, দুই বছর আগে পাশের বাড়ি থেকে আঠারো হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি ক্রয় করেছিলেন। প্রতিদিন পরমযতেœ গাভীটির পরিচর্যা করেন। উচ্চ মূল্যের খাদ্য ও দৈনন্দিন কাজ শেষে গাভীটি নিয়েই ছিলো এ পরিবারের স্বপ্ন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, পশু হাসপাতালে খবর দিলে ডাক্তারকে ৩হাজার টাকা ভিজিট দিতে হয়. এতো টাকা দিবো কোথায় থেকে; তাই চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে পারি নাই।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসার ডাঃ মোঃ আব্দুল করিম জানান, এটা জন্মগত সমস্যা। প্রাণীসম্পদক বিভাগের ভেটেনারী সার্জন ডাঃ নাজনীন সুলতানা জানান, প্রকৃতিগতভাবে দু’মাথাওয়ালা বাছুর জন্ম নিয়েছে। এ ধরনের বাছুর সাধারণ বেঁচে থাকে না। তারপরেও সুচিকিৎসা দিয়ে বাঁচিয়ে চেষ্টা করবো।

কৃষকের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা সম্পূর্ণভাবে ফ্রি। কিন্তু আমি যখন মাঠে যাবো তখন তো ভিজিট দিতেই হবে। আমার সিএনজি ভাড়া লাগে ৫শ টাকা। মানুষও তো ডাক্তারের কাছে গেলে ভিজিট দিতে হয়। ৩হাজার টাকা এটা সঠিক নয়, তবে একটি গাভীর যদি ৩ঘন্টা লাগে অপারেশন করতে। সেক্ষেতে পশুর রোগ বুঝে ভিজিট। এ বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা আছে।