পাটগুদাম ব্রীজ সংলগ্ন জয়বাংলা চত্বরে যা রয়েছে

প্রকাশিত: ১১:৪৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পাটগুদাম ব্রীজ সংলগ্ন জয়বাংলা চত্বর নির্মাণ করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর আনন্দঘন পরিবেশে এই জয়বাংলা চত্বর উদ্বোধন হয়। বাঙ্গালীর শ্রেষ্ট অর্জন স্বাধীনতা। দীর্ঘ সংগ্রাম ও সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ল প্রাণের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। সেই সব মুক্তির সংগ্রাম ও যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অবিস্মরণীয় ইতিহাস কালান্তরে ধরে রাখতে এই জয়বাংলা চত্বর নির্মাণ করা হয়। জাতির পিতার জীবন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে কিছু তারিখ, সংখ্যা জয়বাংলা চত্বরের স্থাপনায় প্রতীক হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে।
জয়বাংলা চত্বরে নানা ইতিহাসের চিত্রকর্ম রয়েছে। স্থাপনাটি মূলত ত্রিভুজ আকৃতির ত্রিস্তর বিশিষ্ট বেদীর উপর ৫টি ফলক। মাঝের ফলক সর্বোচ্চ্য। দুপাশের ফলক ক্রমশ ছোট। মাঝখানের ফলকটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরর রহমানের ৩০ ফুট উচু ম্যুরাল। যা মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদদের স্মরণে রেখে নির্মিত হয়েছে। এর দুপাশে ছোট দুটি ম্যুরাল। যার মধ্যে রয়েছে প্রতীকিভাবে পুরো মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী- ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন থেকে হানাদারদের আত্বসমর্পণ পর্যন্ত। একেবারে কিনারায় দুপাশের দুটি ফলকের একটিতে উৎকীর্ণ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সংপ্তি জীবন এবং অপরটিতে তার অবিস্মরণীয় উক্তি। ফলকগুলোর সামনেই ৯ ইঞ্চি উচ্চতার ১৬টি ছোট্ট বেদী রয়েছে। এগুলো নির্মাণে স্মরণ রাখা হয়েছে ৯ মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ ও এর ফলে অর্জিত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। এছাড়াও মূল বেদীতে উঠা নামার জন্য দুপাশে দুটি সিড়ি রয়েছে। ৬ দফা আন্দোলনকে স্মরণে রেখে একপাশে ৬টি সিড়ি এবং অপরপাশে ৭মার্চকে স্মরণে রেখে ৭টি সিড়ি করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চকে স্মরণে রেখে মূল বেদীর নীচে নির্মাণ করা হয়েছে ১৭টি শাপলার ভাস্কর্য। এছাড়া এই স্থাপনাটি নির্মাণের আগে থেকেই এ জায়গাটিতে ছিল ৭টি বটল পাম গাছ বা বৃ। ৭ বীরশ্রেষ্টকে স্মরণে রেখে এই বৃগুলো স্থাপনাটির ফশ্চাদপটে একিভুত করা হয়েছে। যা উদ্বোধনের পর পরই ময়মনসিংহবাসির নজর কেড়েছে। এই জয়বাংলা চত্বর এক নজর দেখতে রাত পেরিয়ে দিন গড়ানোর সাথে সাথে দর্শকদের ভীড় শুরু হয়েছে। বিকালেও এই ভীড় দেখা গেছে। অনেকেই দাবি করেন শুধুমাত্র জয়বাংলা চত্বর দেখতে ১১ কিলো দুর থেকে এসেছেন এক দর্শক।