স্টাফ রিপোর্টার : স্বাধীনতা সূবণঁ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের কথা আলোচনা করতেই জিয়াউর রহমানসহ অনেকের নাম আসে।
বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতার মূল নেতা। তার নামেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এটা স্বিকার করতে লজ্জা কিসের। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগের সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
৪ মার্চ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ নগরীর আল বারাকা কনভেনশন সেন্টারে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির আয়োজনে এই সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামকে শক্তিশালী, সাবলীল ও জনপ্রিয় করতে বিএনপি স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে।
অনেক দল আছে, একমাত্র বিএনপি কমিটি গঠন করে দলীয়ভাবে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের অসীম সাহসিকতা কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে দেয়া খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের তীব্র সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, কারো অপরাধ হলে পৃথকভাবে শাস্তি হতে পারে।
কিন্তু খেতাব বাতিল করার ষড়যন্ত্র বা চিন্তা করা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অসম্মান করা। খেতাব কারও দান নয়। এটি মুক্তিযুদ্ধে সাহসীকতার অর্জন, রাষ্ট্রের স্বীকৃতি। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) খেতাব বাতিল করার কে। তাদের কাজ হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরণ করা।
এর বাইরে তার করার কিছুই নেই। তিনি আরো বলেন, জিয়াউর রহমান কোন দিন বঙ্গবন্ধুকে অসম্মান করে কথা বলেনি। অসম্মান করেছে এটা কেউ বলতে পারবেনা। কেউ বিশ্বাস করলেও আমি বিশ্বাস করিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক বড়মাপের। তার সম্পর্কে আমি সমালোচনা করার কে। আমার পে তা সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের পরে কথা লিখুন। যারা যা করতে পারেনাই তা তুলে ধরুন। নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা সত্য ইতিহাস জানতে দিন। কেন, কি ঘটেছিল, আমরা কে, কি করেছি। এই সাফল্যকে এড়িয়ে যাবেন না।
সভাপতির ব্ক্তব্যে ইকবাল হাসান টুকু বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন একদিনে হয়নি। একটা পর্যায় মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আওয়ামীলীগ ১৪ বছরে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করেছে। আমরা জাতিকে ৭১ এর মত এক বিত্তে আনতে চাই।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম বক্তব্য রাখেন। এছাড়া সভায় উপস্থিত ছিলেন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, শরিফুল আলম, ওয়ারেছ আলী মামুন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, শরিফুল আলম, সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন মিডিয়া কমিটির সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী, ফারজানা শারমিন পুতুল, দণি বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, মাহাবুবুল আলম মাহাবুব, সাবেক এমপি শাহ শহীদ সারোয়ার, উত্তর জেলা বিএনপির মোতাহার হোসেন তালুকদার, আহাম্মেদ তায়েবুর রহমান হিরন, আবুল বাসার আকন্দ প্রমুখ।