কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
আড়াই বছর আগে মায়ের কোল জুড়ে জমজ শিশু জন্ম নেয়। ওরা ইয়ামিন আর ইয়াসমিন দুজনের বয়স আনুমানিক দুই বছর ছয় মাস। ঘর আলোকিত করে রাখতো ওরা ভাই-বোন। পিতার কুমড়া খেতের পোকা মারতে আনা প্যাকেট বিষ, টকের আচার ভেবে জমজ শিশুরা ভাগাভাগি করে খেয়ে ফেলে।
আলোকিত ঘরে এভাবে আন্ধকার নেমে আসবে এমনটা জানা ছিল। বিষ পানে জমজ শিশুর মধ্যে মেয়ে ইয়াসমিন(২বছর ৬মাস) বিষক্রিয়ায় মারা যায়, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ইয়াসিন (২বছর ৬মাস)। চন্ডিগর ইউনিয়নের পাবিয়াখালী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার জমজ শিশু ইয়ামিন ও ইয়াসমিন। গত সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে জমজ শিশুর বিষ পানের ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে বিষ খাওয়ার বিষয়টি শাহজাহানের বড় মেয়ে সুমনা(১০) প্রথমে টের পেয়ে তাঁর মাকে জানায়। মায়ের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও শিশুদের পিতা শাহজাহান মিয়া সকাল ১১টা ৫মিনিটের দিকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করে।
ওই দিন দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াসমিন মারা যায়। আর ইয়ামিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির লাশ মর্গে পাটায়। গতকাল মঙলবার (৩০ মার্চ) বেলা ৪টার দিকে শিশুটির লাশ নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে রাত ১১টার দিকে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বিষ পানে জমজ শিশুর একজনের মৃত্যুর বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) কর্মকর্তা শাহনুর-এ আলম বলেন, বিষ পানে জমজ শিশু দুটির অবস্থা করুণ। মেয়ে বাচ্ছাটি মৃত্যুর বিষয়টি খুবই কষ্টকর। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে।