নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে ২৭ মরদেহ উদ্ধার : অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২১

স্বজন ডেক্স : নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় ডুবে যাওয়া এমভি সাবিত আল হাসান লঞ্চটি ২৭ মরদেহ উদ্ধারের পর অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। ১৯ ঘণ্টা পর সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদীর ৩৫ ফুট গভীর থেকে ক্রেন দিয়ে তুলে আনে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ ‘প্রত্যয়’। এ সময় লঞ্চের ভেতরে আটকে থাকা ২২টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে রবিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ডুবুরিরা লঞ্চ থেকে পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেন। এ নিয়ে লঞ্চ থেকে পাঁচ শিশু, ১৮ নারী ও ৮ জন পুরুষসহ ২৭ যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সর্বশেষ ২২টি মরদেহ উদ্ধারের পর উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট এলাকায় এসকে-৩ নামের একটি কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। ওই দিন রাতেই উদ্ধার অভিযান শুরুর পর রাত ৩টার দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। সোমবার সকাল ৮টায় পুনরায় উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়। ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, নৌ-বাহিনী, নৌ-পুলিশ ও জাহাজ ‘প্রত্যয়’ উদ্ধার কাজ চালায়। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ডুবে যাওয়া সাবিত আল হাসান লঞ্চটি টেনে তীরে তোলার পর একে একে মৃতদেহ নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনীর ডুবুরিরা। এ সময় মৃতদের স্বজনদের আহাজারিতে নদীর দুই তীরের বাতাস ভারি হয়ে উঠে।

দুপুর দেড়টার দিকে উদ্ধার করা লাশগুলো ট্রলার ও স্পিডবোটে করে শীতলক্ষ্যার পশ্চিম তীর কয়লাঘাট এলাকায় নিয়ে আসা হয়। সেখানে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয় লাশগুলো। এ সময় স্বজনরা লাশ শনাক্তে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। স্বজনদের পাশাপাশি উৎসুক জনতাও ভিড় জমান লাশগুলো একনজর দেখতে।

নিহতদের হলেন—মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার রুনা আক্তার (২৪), সদর উপজেলার চৌহদ্দামোড় এলাকায় সোলায়মান (৬০), বেবী বেগম (৬০), সুনিতা সাহা (৪০), পাখনা (৪৫), বিথি (১৮), আরিফা (১), পতিমা শর্মা (৫৩), শামসুদ্দিন (৯০), রেহেনা বেগম (৬৫),  হাফিজুর রহমান (২৪), তাহমিনা বেগম (২০), নারায়ণ দাস (৬৫), পারবতী রানী দাস ( ৪৫), আজমীর (২), শাহ আলম মৃধা (৫৫), মহারানী (৩৭), আনোয়ার হোসেন (৫৫), মাকসুদা বেগম (৩০), ছাউদা আক্তার লতা (১৮), আব্দুল খালেক (৭০), জবু ( ১৩), খাদিজা বেগম (৫৩), মো. নয়ন (২৮), সখিনা বেগম (৪৫), সাদিয়া (১১) ও মানসুরা (৭)।