দুর্গাপুরে ১০ বছর ধরে পরে আছে ধসে পড়া ব্রীজ

প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২১

কলিহাসান, দুর্গাপুর (নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের হারিয়াউন্দ গ্রামে প্রায় দশ বছর পূর্বে বন্যার প্রবল স্রোতে ধসে যাওয়া ব্রীজটি নির্মাণ ও সংযোগ গ্রামীণ সড়কটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা। ধসে পড়া ব্রীজটি ওই এলাকার মানুষের জনভোগান্তি চরমে রুপ নিলেও,যেন দেখার কেউ নেই।

দীর্ঘদিনের ধসে পড়া ব্রীজটি পুণনির্মাণ না হওয়ায় জনমনে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। বিচ্ছিন্ন গ্রামীণ সড়কটিতে আজও মাটি পড়েনি বলে অভিযোগ স্থানীয় ভুক্তভোগীদের।

এ ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনেকটাই উদাসীন বলে জানান অসংখ্য পথচারী। গতকাল শনিবার (২৪ মার্চ) বিকেলে সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।


গত বছরের বন্যার তা-বে বিরিশিরি ইউনিয়নের তিগ্রস্ত সড়ক,সেতুটি পুননির্মাণ হয়নি। ফলে গ্রামীণ জনপদের লোকজন ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে ওই ইউনিয়নের এলজিএসপি (লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট) প্রকল্পের অর্থায়নে নির্মিত বিভিন্ন জায়গার বক্স কালভার্ট বছর না যেতেই ভেঙে পড়েছে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে। এক জায়গায় বছরের পর বছর প্রকল্প দিয়ে অর্থের অপচয় করছে একটি কতিপয় মহল। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীন ওই ধসে পড়া সেতুটি নির্মাণের এখনও কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন হারিয়াউন্দ গ্রামের ভেতর দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাটি বসতিদের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বর্ষা মৌসুমে ঘরবন্দি দিন কাটে অনেক পরিবারের। প্রায় দশ বছর ধরে এভাবে পড়া থাকা ব্রীজটি কবে আবারো আলোর মুখ দেখবে এমন আশঙ্কা ভুক্তভোগীদের। আর বছরের পর বছর শেষ হলেও ওই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

ব্রীজটি নির্মাণের বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রতিবেদকে জানান, ওই জায়গাটি কয়েকবার পরিদর্শন করেছি। ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঐখানে বন্যার প্রবল স্রোতের কারণে এরকম ব্রীজ টেকসই করবেনা। এখানে গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ করতে হবে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রুহু জানান,আমি পিআইও’র মাধ্যমে পরিদর্শন করিয়েছি। ব্রীজটি ভাঙতে প্রায় তিন লক্ষ টাকা লেগে যায়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর এর আওতায় গার্ডাও ব্রীজ নির্মাণ সম্ভব নয়। ওই ইউনিয়নের বেশক’টি বক্স কালভার্ট নির্মাণে বছর যেতে না যেতেই ভেঙে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম মৃধা মুঠোফোনে জানান, সকল উন্নয়নমূলক কর্মকা- করতে চাইলে এমপি মহোদয়ের ডিও লাগে। তাছাড়া কোন সুযোগ নেই।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার(ইউএনও) মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই ব্রীজটি পড়ে রয়েছে। এটি আমি দেখেছি। সরেজমিন পরিদর্শণ করে উপজেলা প্রকৌশলী মাধ্যমে একটি গার্ডার ব্রীজের প্রস্তাবনা পাটানো হবে।