ভাগ্যের নির্মম পরিহাস দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর তিনটি সন্তানই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী

মুক্তাগাছার ইয়াকুব চায় সরকারে পৃষ্টপোষকতা বিত্তবানদের সহযোগিতা

প্রকাশিত: ১০:১২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২২

মো: কামাল হোসেন : মানুষের মাঝে দু:খ কষ্টের সীমা নেই। কেউ পঙ্গু, কেউ অন্ধ, কেউ আবার দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। এমনই এক পরিবার মোঃ ইয়াকুব আলীর। মোঃ ইয়াকুব আলীর পরিবারে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তিনটি সন্তানই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী।

তিনটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে অন্ধকারের মধ্যে আলোর পথ খুজে বেড়াচ্ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইয়াকুব আলী।

ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের শশা কান্দাপাড়া গ্রামের আঃ খালেকের ৭ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে মোঃ ইয়াকুব আলী জন্ম থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ইয়াকুব আলী জন্ম থেকে প্রতিবন্ধী হওয়ার পরও বাবার সম্পত্তি না থাকায় অন্যের কাজ করে জীবন যাপন শুরু করে। পরিবারের ইচ্ছায় ২০০৭ সালে তারাটির বারকাহনিয়ার তালেব আলী মীরের মেয়ে তাহমিনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় ইয়াকুব আলী। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর পরই তিনটি সন্তানের জন্ম হয় ইয়াকুব আলী ও তাহমিনা দম্পত্তির।

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ইয়াকুব আলী ও তাহমিনা দম্পত্তির পরপর তিনটি সন্তানই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ২০১৪ সালের ১ মে প্রথম জন্ম গ্রহণ ইসরাত জাহান। জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। ২০১৭ সাথে ৩ মে জন্ম আরও একটি মেয়ে তামান্না আক্তার সেও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। একটি সুস্থ সবল সন্তানের আশায় আর একটি সন্তান নেন ইয়াকুব আলী ও তাহমিনা দম্পত্তি। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০২০ সাথে ২ ফ্রেরুয়ারী একটি ছেলে জন্ম নেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়ে। তার নাম রাখা হয় মোঃ ইউসুফ আলী। তিনটি সন্তান নিয়ে ইয়াকুব আলী সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ভাতাও পান।

ইয়াকুব আলী চোখের আন্ধাজে অন্যের বাড়ীতে দৈনিক রোজে কাজ করলেও এখন আর কাজ করতে পারে না চোখের দৃষ্টির জন্য।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও ইসরাত জাহান ও তামান্না আক্তারকে ভর্তি করিয়েছেন মাদ্রাসায়। ছোট সন্তান ছেলেকেও মাদাসায় পড়াতে চায় ইয়াকুব আলী। ছেলে মেয়েদের মাদ্রাসায় লেখাপড়ার বাধা হয়ে দাড়িয়েছে অভাব অনটন। এখন আর কাজও করতে পারে না সে। সামান্য সরকারি ভাতা দিয়ে তাদের ৫ জনের সংসারে খাওয়া দাওয়া ভরণ পুষণ করতে হিমসিম খাচ্ছে ইয়াকুব আলী।

ইয়াকুব আলী কান্না জড়িত কন্ঠে দৈনিক স্বজন পত্রিকা অফিসে জানান, বাবার কয়েক শতাংশ জমির উপর আমার থাকার ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। অন্যের বাড়ীতে কাজও করতে পারিনা এখন আমার তিনটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে কার কাছে হাত পাতবো, কে দিবে আমাদের ভরণ পুষণ, কিইবা পড়াবো আমার সন্তানদের, এখন আমার চোখে অন্ধকারের মাঝে অন্ধকার।

ইয়াকুব আলী চায় সরকারে পৃষ্টপোষকতা। এনজিও ও দেশী বিদেশী বিত্তবানদের কাছে চায় সহযোগিতার হাত। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে ০১৭৭৮-৬৭৩৬৭৮ নাম্বারে যোগাযোগ করে সহযোগিতা জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ইয়াকুব আলী।